বক্সিং ফেডারেশন দখল ১১ বক্সারের

প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

কোটা সংস্কার ইস্যুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে পতন হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে গেছেন শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ১৬ বছর পর ক্ষমতার পালাবদল ঘটেছে। এরপরই শুরু হয়েছে দেশজুড়ে চলছে নৈরাজ্য। তারই অংশ হিসেবে বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনে চলছে দখলদারিত্ব। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আল আমিন, আমিনুল ইসলাম, ইশতিয়াক আহমেদ, সাবেক বক্সারদের একটি অংশ এসে হাজির হয় মোহাম্মদ আলী বক্সিং স্টেডিয়ামে।

সেখানে তারা দুর্নীতিমুক্ত বক্সিংয়ের ব্যানারে দখল করে নেয় ফেডারেশন। এরপর বক্সিং সমন্বয়কের নাম করে সেখানেই আবাসনের ব্যবস্থা করে। এ নিয়ে শংকা ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ক্যাম্পে থাকা বক্সাররা। আগামী ২৭ আগষ্ট থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবুধাবির আল আইন সিটিতে অনুষ্ঠিত হবে এএসবিসি এশিয়ান জুনিয়র অ্যান্ড স্কুল বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ। সেখানে অংশ নেয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পে রয়েছেন বেশ কজন বক্সার। যেখানে বিকেএসপির তিনজন ও রাজশাহীর একজন বক্সার রয়েছেন। ছাত্র ও বর্তমান বক্সার আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দূর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার। তাই সাবেক ও বর্তমান কোনো কর্মকর্তাকেই আমরা চাই না। আমরা সমন্বয়করা এখানেই থেকে বক্সিংকে পাহারা দেব।’ সাবেক বক্সার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘বক্সিং ফেডারেশনের বর্তমান কমিটি তাদের অক্ষমতা প্রকাশ করেছে। তারা আর এই ফেডারেশন চালাতে পারছে না। তাই বর্তমানে আমাদের খেলোয়াড়রা সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষাণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিচ্ছি।’ প্রথমে তারা ক্যাম্প বন্ধ করতে চেয়েছিল। তবে বক্সারদের টিকিট কাটা শুনে ক্যাম্প অব্যাহত রাখেন। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম তুহিন বলেন, ‘আমরা কখনই বলিনি অক্ষম। যদি ফেডারেশন চালাতে অক্ষম হতাম, তাহলে ক্যাম্প চালাতে পারতাম না। ছেলেদের বিদেশে খেলতে যেতেও পাঠাতে পারতাম না।’ এক সময় সেখানে এসে উপস্থিত হন সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুস খান। তিনি বলেন, ‘সমন্বয়ের নাম করে স্টেডিয়ামের ভেতরে অবস্থান করা বৈধ নয়। স্টেডিয়াম ও ফেডারেশনের দেখভালের দায়িত্ব জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের, তাদের নয়। এখানে তাদের থাকার কি দরকার। সেখানে ক্যাম্পও চলছে। এই সময় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায় দায়িত্ব কে নেবে? বাইরের ছেলেরা সমন্বয়কারী হিসেবে আসবে এর কোনো প্রয়োজন ছিল না।’