দেশের ক্রিকেটে পরিবর্তন চান বিজয়

প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

কোটা সংস্কার ইস্যুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পতন হয়েছে আওয়ামী লীগের। ছাত্রঅভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ এই আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন বাংলাদেশের একাধিক ক্রিকেটার। এনামুল হক বিজয় তাদের মধ্যে অন্যতম। আন্দোলনে নেমে প্রিয়জনও হারিয়েছেন। সেজন্য বৈষম্য বিরোধী এক সমাজ ব্যবস্থা দেখতে চান তিনি। প্রশ্ন উঠছে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে কী কখনো বৈষম্যর শিকার হতে হয়? দল থেকে সুযোগ না পেয়ে বাদ পড়া, কিছু না করেই দলে ঢোকার মতো ঘটনা ঘটে প্রায়ই। সেগুলোও তো বৈষম্য! এনামুল সেই কথাই যেন বলতে চাইলেন, ‘এটা (বৈষম্য) তো হতেই থাকবে। এটা আপনিও কখনো বলতে পারবেন না যে আপনার সঙ্গে হয়নি। এটা হতেই থাকে। তারপরও এটা সামনে যত কম হয় সেই আশা আমরা করবো।’ সামনে যারা বোর্ড চালাবে কিংবা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকবে তাদের থেকে ভালোকিছুর প্রত্যাশা এনামুলের, ‘যখন আসলে দায়িত্ব নেয়ার সময় আসবে আমাদের ওয়ান টু ওয়ান যার দায়িত্ব যেটা সেটা যদি পালন করতে পারে তাহলে এসব এড়ানোর সুযোগ আসবে।’ ক্ষমতার পালাবদলে এখন ক্রিকেট বোর্ডেও পরিবর্তনের হাওয়া। উপেক্ষিত অনেক ক্রিকেটারেরই দাবি, নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বোর্ড দেশের ক্রিকেটের ক্ষতি করেছে। কর্মকর্তারা ক্রিকেটারদের জীবন ধ্বংস করেছেন। সামনে কেমন ক্রিকেট বোর্ড দেখতে চান ক্রিকেটাররা? সেই উত্তর দিতে গিয়ে এনামুল আলোচনায় বসার ডাক দিলেন। এই ওপেনার বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় এটার (ক্রিকেট বোর্ড) বড় আলোচনা জরুরি। দুজন একজনের কথায় আসলে এটা হবে না। ব্যক্তিগতভাবে বললে, আমি চাই বড় গ্রুপ যারা আমরা সবাই ক্রিকেট নিয়ে কাজ করি তারা একত্রে বসে আলোচনা করে এটা করা। যারা ক্রিকেট খেলেছি, কেউ খেলেছে বা সামনে কেউ খেলবে। বড় ধরনের আলোচনা দরকার। যার যেটা প্রয়োজন সেটা তারা বলবে। যেখানে যে আছে। আমি জানবো না দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেটে কি হচ্ছে। আমি প্রিমিয়ার লিগেরটা জানি। আমি ফুটবলের বিষয়টা জানি না। আমি মনে করি ছোট থেকে বড় সবার সঙ্গে বসে দারুণ আলোচনা সম্ভব। সেখানে আমরা তুলে ধরতে পারবো আমাদের এটা ওটা প্রয়োজন। এখন বললেই কতটা পরিবর্তন আসবে সেটা আমি জানি না। বড় আলোচনা দরকার পরিবর্তন আসার জন্য।’ পুরুষদের ক্রিকেটে বৈশ্বিক কিংবা মহাদেশীয় কোনো শিরোপা নেই। বড় অর্জন বলতে কেবল একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়। অথচ নারীরা এশিয়া কাপ জিতেছে। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটাররা জিতেছে বিশ্বকাপ। নতুন বাংলাদেশকে পুরুষ ক্রিকেটাররা বড় কিছু উপহার দিতে চান। এ নিয়ে এনামুল বলেন, ‘আমাদের কাঙ্ক্ষিত যেই অর্জন যেটা আমরা মানুষকে দিতে চাই। আমরা একটা ট্রফি দিতে চাই। আমরা এশিয়া কাপের ট্রফি দিতে চাই। আমরা বিশ্বকাপের ট্রফি দিতে চাই। একসঙ্গে অনেকে খেলছে এমন একটা টুর্নামেন্টের ট্রফি দিতে চাই। স্বচ্ছ ক্রিকেট চাই। জিনিসগুলো কিন্তু মানুষ আশা করে বসে আছে। যেটা আমাদের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটাররা দিয়েছে, নারী ক্রিকেটাররা দিয়েছে। বড় সার্কিটে আমরা কিন্তু দিতে পারিনি। বড় অর্জন দেয়া জরুরি এই দেশের জন্য। যেটা আমরা চেষ্টা করবো।’