নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নিরাপত্তা

সেনাপ্রধানের কাছে বিসিবির চিঠি

প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

আসন্ন নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক বাংলাদেশ। রাজধানী ঢাকা ও চা নগরী খ্যাত সিলেটে বসবে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে মেয়েদের এই আসর। কিন্তু তার দু’মাস আগে হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে উঠে গোটা বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল আইসিসি নড়েচড়ে বসে। নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশ থেকে অন্য দেশে সরিয়ে নেয়ার চিন্তা শুরু করে সংস্থাটি। এরমধ্যেই কোটা সংস্কার ইস্যুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পতন হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে গেছেন শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ১৬ বছর পর ক্ষমতার পালাবদল ঘটেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতিসহ পরিচালনা পর্ষদের অনেকেই গাঢাকা দিয়েছে। এরমধ্যেই গঠন করা হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গত বৃহস্পতিবার এই সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নিয়েছেন শান্তিতে নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। উপদেষ্টা হিসেবে হিসেবে শপথ নিয়েছেন আরো ১৬ জন। পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। মেয়েদের বিশ্বকাপ আয়োজনে নিরাপত্তা চেয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানের কাছে চিঠি দিয়েছে বিসিবি। তবে এই আলোচনা যখন উঠেছে, ততক্ষণে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নিয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন ১৭ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটি। এরই মধ্যে তাদের দায়িত্বও বণ্টন করা হয়েছে। এদিকে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বিসিবির কাছে জানতে চেয়েছে আইসিসি। সেটি সেনাপ্রধানের সঙ্গে কথা বলেই নিশ্চিত করতে চায় বিসিবি। সে উদ্দেশেই তার কাছে চিঠি দিয়েছেন বিসিবি পরিচালক ও আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু। এ নিয়ে বিসিবি পরিচালক ও আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে বলেছেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি টুর্নামেন্ট আয়োজন করার। সত্যি বলতে আমরা খুব বেশি লোক দেশে নেই। বিশ্বকাপের জন্য নিরাপত্তা চেয়ে সেনাপ্রধানকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে আমাদের হাতে আর মাত্র দুই মাস সময় আছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আইসিসি আমাদের সঙ্গে দুই দিন আগে যোগাযোগ করেছিল। আমরা তাদের বলেছি দ্রুত সময়ের মধ্যে জানাব। আজকে (গত বৃহস্পতিবার) অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে, তবুও তাদেরকে নিশ্চয়তা দিতে হবে। এটা আমরা দিতে পারব না, এটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিতে হবে। এ জন্য সেনাপ্রধানকে চিঠি দিয়েছি।’

উল্লেখ্য, ১০ দলের অংশগ্রহণে আগামী ৩-২০ অক্টোবর পর্যন্ত নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।