ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

প্যারিস অলিম্পিকস

‘রিজার্ভ’ হিসেবে এসে স্বর্ণ জিতলেন তামিরাত

‘রিজার্ভ’ হিসেবে এসে স্বর্ণ জিতলেন তামিরাত

প্যারিস অলিম্পিকসে ইথিওপিয়ার ম্যারাথন দলে ‘রিজার্ভ’ হিসেবে এসেছিলেন তামিরাত তোলা। সতীর্থ সিসে লেমা চোটে পড়ায় কপাল খুলে যায় তার। অবিশ্বাস্য ব্যাপার হলো, এই তামিরাতই ছেলেদের ম্যারাথনে অলিম্পিক রেকর্ড গড়ে জিতলেন স্বর্ণ পদক! ছেলেদের ম্যারাথনে ২ ঘণ্টা ৬ মিনিট ২৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে রেকর্ড গড়ে সেরা হয়েছেন তামিরাত। তিনি ভেঙেছেন ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিকসে কেনিয়ার ওয়ানজিরুস স?্যামুয়েল কামাউর (২ ঘণ্টা ৬ মিনিট ৩২ সেকেন্ড) রেকর্ড। এই ইভেন্টে টোকিও অলিম্পিকসে ব্রোঞ্জ পাওয়া বেলজিয়ামের বাশির আবেদি (২ ঘণ্টা ৬ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড) এবার পেয়েছেন রুপা। অলিম্পিকস অভিষেক কেনিয়ার বেনসন কিপ্রুটো রাঙিয়েছেন (২ ঘণ্টা ৭ মিনিট) ব্রোঞ্জ জিতে।

ইথিওপিয়ার চতুর্থ দৌড়বিদ হিসেবে অলিম্পিকসে ম্যারাথনে স্বর্ণ জিতলেন তামিরাত। ২০২২ সালে বিশ্বসেরা এবং ২০১৬ সালে রিও দে জেনেইরো অলিম্পিকসে ১০ হাজার মিটারে ব্রোঞ্জ জেতা এই অ্যাথলেট অলিম্পিকসে প্রথম স্বর্ণ জিতলেন। দুই সপ্তাহ আগেও তামিরাতের ম্যারাথনের অংশ নেয়ার কথা ছিল না। কিন্তু হঠাৎ পাওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে তিনিই এখন দেশকে এনে দিয়েছেন আনন্দের উপলক্ষ্য। স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বাসে ভাসছেন তামিরাত। ‘আমি ইথিওপিয়ান দলে ছিলাম রিজার্ভ হিসেবে, কিন্তু যখন সিসে চোট পড়ল, তখন আমার সামনে সুযোগ এলো তার প্রতিনিধত্ব করার। পুরোপুরি প্রস্তুত ছিলাম এবং জানতাম, আমি নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পারব। আজ আমি খুশি। গর্বিত, খুবই গর্বিত।’

তোলার স্বদেশি ও দূরপাল্লার দৌড়ে তিনবারের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন কেনেনিসা বেকেলে ম্যারাথনে ৩৯তম হন। বেকেলে মনে করেন, তামিরাতের জয় ম্যারাথনে তরুণ প্রজন্মের উঠে আসার বার্তাও, ‘ইথিওপিয়ার জয়ে দারুণ লাগছে। তোলা খুব শক্তিশালী। তার জন্যও ভালো লাগছে। লোকে আমাকে এবং কিপচোগেকে নিয়ে কথা বলছে। কিন্তু তরুণ প্রজন্মকে দেখুন। ওরা আমাদের চেয়ে বেশি শক্তিশালী।’ গতবারের স্বর্ণ জয়ী কেনিয়ার কিংবদন্তি এলিয়ুদ কিপচোগে মুকুট ধরে রাখা তো দূর অস্ত, এবার দৌড়ই শেষ করতে পারেননি। কিপচোগে পরে বলেছেন, ‘আজ দিনটা কঠিন ছিল। অনেকটাই বক্সিংয়ের মতো। পাঁচ মাস অনুশীলন করে ২ সেকেন্ডেই নকআউট হতে পারেন। কিন্তু জীবন থেমে থাকে না। এটা আমার সবচেয়ে বাজে ম্যারাথন। আমি কখনো ‘ডিএনএফ’ (দৌড় শেষ করতে না পারা) করিনি। বক্সারের মতোই আমি কখনো নকআউট হয়েছি, কখনো জিতেছি, দ্বিতীয়, অষ্টম, দশম, পঞ্চমও হয়েছি। কিন্তু এবার শেষ করতে পারলাম না। এটাই জীবন।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত