কোটা সংস্কার ইস্যুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পতন হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের পালিয়ে ভারতে যান শেখ হাসিনা। তারপরই দেশজুড়ে শুরু হয় আনন্দ-উল্লাস। তার মধ্যেই সুযোগ সন্ধানী দুস্কৃতিকারীরা বিভিন্ন সরকারি স্থাপনাসহ ব্যাক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এর থেকে রেহায় পায়নি ক্রীড়া স্থাপনাও।
হামলা হয়েছে ঢাকা আবাহনী ও শেখ জামাল ক্লাবে। এবার ফুটবলের নবাগত ক্লাব ফর্টিজ এফসিও ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার হয়েছে। ফর্টিজ এফসির ম্যানেজার রাশেদুল ইসলাম মালয়েশিয়ায় একটি কোচিং কোর্সে ছিলেন। কাল রাতে ঢাকায় ফিরে আজ সকালে ক্লাব প্রাঙ্গণে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন ভঙ্গুর অবস্থা। এ নিয়ে ম্যানেজার রাশেদ জানান, ‘আমাদের অনুশীলন মাঠটি অত্যন্ত ভালো মানের। সেই মাঠ বড় ধরনের ক্ষতিক্ষস্ত হয়েছে। অনুশীলনের জন্য ড্রেসিংরুম ভেঙে চুরমার, রোলিং মেশিন, বলসহ সব অনুশীলন সরঞ্জাম চুরি ও ভাঙচুর হয়েছে।’ ফর্টিজ এফসি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে নতুন দল। তারা তিন মৌসুম ধরে দেশের ফুটবলে শীর্ষ স্তরে খেলছে। নতুন ক্লাব হিসেবে বেশ বড় ধকলে পড়েছে উদ্ভূত এই পরিস্থিতিতে।
এর আগে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরপরই আবাহনী ক্লাবে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী ঢাকা আবাহনী শেখ কামালের হাতে গড়া। হামলায় ট্রফি ভাঙচুর এবং প্রশাসনিক কক্ষের আসবাবপত্র ও কাগজপত্রের সব কিছুর ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্লাব সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া একই সময়ে ভাঙচুর চলেছে ধানমন্ডিতে অবস্থিত শেখ জামাল এবং কলাবাগান ক্লাবেও।