ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

যে কারণে স্কোয়ার্ডে, ব্যাখ্যা দিলেন প্রধান নির্বাচক

যে কারণে স্কোয়ার্ডে, ব্যাখ্যা দিলেন প্রধান নির্বাচক

আওয়ামী লীগের টিকিটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। গণ অভ্যুত্থানের মুখে সরকারের পতনের পর সংসদও এরই মধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে আন্তর্বর্তীকালীন নতুন সরকার। এমন রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সাকিবের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কা দেখা দেয়। তবে আপাতত সাকিবের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে রাজনীতির প্রভাব পড়ছে না। আসন্ন পাকিস্তান সিরিজের দলে আছেন তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্য গতকাল দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ১৬ সদস্যের এই দলে আছেন সাকিব। দল ঘোষণার একদিন পর গতকাল সোমবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। জানালেন সাকিবের সঙ্গে কী কথা হয়েছে সে বিষয়ে।

শুরুতেই লিপু বলছিলেন, সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ থাকে, যোগাযোগ ছিল। গত মাসেও ছিল এ মাসেও হয়েছে। প্রসেস হলো যে দেশের বাইরে কোনো খেলোয়াড় যদি থাকে তার সম্বন্ধে খোঁজ খবরটা নেয়া। এ ছাড়া শরিফুলের সঙ্গেও কথা হয়েছে। অনুশীলন না করেই পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে কেন সাকিব? ব্যাখা হিসেবে লিপু বললেন, ‘এটা তার পারফরম্যান্সের আলোকেই যাচ্ছে। তার পারফরম্যান্স দিয়ে সে নিজেকে সে জায়গায় নিয়ে যেতে পেরেছে। অভিজ্ঞতা রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ফরম্যাটে, পাকিস্তানের বিপক্ষে তার রেকর্ড সবকিছু মিলিয়ে তিনি যাচ্ছেন। রাজনৈতিক পরিচয় ছাপিয়ে মেধার বিবেচনায় সাকিবকে দলে নেয়া হয়েছে বলে জানান প্রধান নির্বাচক। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা চিন্তিত। তার নিরাপত্তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের একজন টপ প্লেয়ার। সিলেকশনের ক্ষেত্রে আমরা ভেবেছি, যেহেতু তিনি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। মূলত তার মেধার বিবেচনায় তাকে দলে নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া একজন খেলোয়াড়কে রাজনীতি যুক্ত হওয়ার রীতি নিয়েও কথা বলেছেন লিপু। তার মশে যে সংস্কারের ছোঁয়া লেগেছে, তা এগিয়ে যাবে। কেউ জাতীয় দলে থাকা অবস্থায় রাজনীতি করতে পারবেন না, এটা নিয়েও হয়তো কোনো সিদ্ধান্ত আসবে। কোনো রাজনৈতিক দলেরও কি উচিত কোনো রানিং খেলোয়াড়কে তাদের দলে নেয়া। পাকিস্তানে দলের সঙ্গে কবে যোগ দেবেন সাকিব, এমন প্রশ্নের জবাবে লিপু বলেন, ‘জিম্বাবুয়ে সিরিজ চলার সময় তার প্ল্যান জানতে চেয়েছিলাম ডিসেম্বর পর্যন্ত। আমাদের আটটা টেস্ট ম্যাচ রয়েছে সেখানে তার থাকা নিয়ে কথা হয়েছিল। সে আমাদের আশ্বস্ত করেছিল। এরপর তার সঙ্গে প্রোপার ই-মেইলে কথা হয়েছে থাকবে কি না একটা জানার বিষয় ছিল। একটা প্রসেস ছিল তো সেই আলোকে ১৪ অথবা ১৫ তারিখ সে দলের সঙ্গে পাকিস্তানের যোগ দেবে যেটা লজিস্টিক দেখছে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত