নারী বিশ্বকাপ আয়োজনে আশাবাদী ক্রীড়া উপদেষ্টা

প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের আগেই বাংলাদেশে ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছিল বেশ কিছু দেশ। তাই বাংলাদেশে এই বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। তবে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। তাই আগামী ৩-২০ অক্টোবর নির্ধারিত সময়েই বাংলাদেশে নারী টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজনে আশাবাদ ব্যক্ত করলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। গতকাল রোববার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারা আমাদের জন্য মাইলফলক হবে। যেহেতু একটা সংকটকাল চলছে। আবার একই সঙ্গে যারা আমাদের মেহমান হয়ে আসবেন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও আমাদের দায়িত্ব। আমাদের সবকিছু বিবেচনা করেই এগুতে হচ্ছে।’ বিষয়টি নিয়ে আসিফ মাহমুদ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন। ক্রীড়া উপদেষ্টা যোগ করেন, ‘সব কিছু বিবেচনায় এটা তো শুধু ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে নেই। এটা রাষ্ট্রীয় ব্যাপারও। ড. মুহাম্মদ ইউনুস স্যার (প্রধান উপদেষ্টা) আছেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নতুন নিয়োগ পেয়েছেন। সবার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবো। আইসিসির সঙ্গেও আমাদের আলোচনা চলমান আছে। তারপর এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারব।’ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন অনুপস্থিত। তিনি পদত্যাগ করবেন বলেও শোনা যাচ্ছে। তাহলে বিসিবি কীভাবে চলবে এবং বড় কোনো পরিবর্তন আসবে কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমরা সংস্কার করব পদ্ধতির, ব্যক্তির না। সিস্টেমকে যারা খারাপ করেছে তাদের ব্যাপারে বদল আসবে এটা সুনিশ্চিত। তবে বোর্ডের ব্যাপারে যেটা হলো, গঠনতন্ত্র রয়েছে। যারা দায়িত্বে আসবেন বা পাবেন তাদের গঠনতন্ত্র আরো গণতান্ত্রিক করে গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি যে অনিয়ম, দুর্নীতিগুলো এতদিন হয়েছে সেগুলো প্রকাশ করতে হবে। শুধু বিসিবি নয়, বাফুফেসহ অন্য ফেডারেশন যেগুলো আছে সবার ক্ষেত্রে আমাদের একই পরিকল্পনা।’ জানা গেছে, বেশ কয়েকটি এজেন্ডা নিয়ে আগামী মঙ্গলবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট বোর্ডগুলোর সঙ্গে অনলাইন বৈঠকে বসবে আইসিসি। তারা চাচ্ছে সেই সময়ের মধ্যে যেন বিসিবি নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়। এদিকে দেশে প্রথমবারের মতো তৈরি করা হবে স্পোর্টস ইনস্টিটিউট। যুব ও ক্রীড়া উপদেস্টা আসিফ মাহমুদ এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে যুগান্তকারী এক সিদ্ধান্তের দ্বারপ্রান্তে রয়েছি আমরা। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদদের হাই পারফরম্যান্স, ক্রীড়াবিদদের মানসিক ও শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, ক্রীড়া কৌশল, নেতৃত্বগুণের উন্নয়ন তথা সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মতো নির্মিত হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম স্পোর্টস ইনস্টিটিউট।’ এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য সম্পর্কে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘ইংল্যান্ড, আমেরিকা, ফ্রান্স ও চীনসহ উন্নত দেশ স্পোর্টস ও সায়েন্সের মেলবন্ধনে যে ফলাফল ও সাফল্য অর্জন করেছে, তা নিশ্চিত করাই হবে আমাদের এই ইনস্টিটিউটের অন্যতম লক্ষ্য।