ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দুই ওপেনারের দৃঢ়তায় স্বস্তিতে দিন শেষ বাংলাদেশের

দুই ওপেনারের দৃঢ়তায় স্বস্তিতে দিন শেষ বাংলাদেশের

দিনের খেলা শেষ হওয়ার প্রায় ঘণ্টা আগে পাকিস্তানের ইনিংস ঘোষণা পুরোনো আতঙ্ক ধরিয়ে দিয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে কতবারই টেস্ট হেরেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম হলো। রাওয়ালপিন্ডিতে শঙ্কা জয় করেছে টাইগাররা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে লাল-সবুজ দলের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ২৭ রান। পাকিস্তান নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে ৪২১ রানে। পাকিস্তানকে ছোঁয়ার পথটা অনেক দূরের হলেও আশা জাগাচ্ছেন জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম এবং রাওয়ালপিন্ডির ব্যাটিং সহায়ক পিচ। পড়ন্ত বিকালে বাংলাদেশ ওপেনাররা কোনো ভুল না করিয়েই কাটিয়েছেন ১২ ওভার। জাকির হাসানের দুবার অফস্ট্যাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করে পরাস্ত হওয়া ছাড়া ভয়ের কিছু ছিল না। দিন শেষে জাকির ৪২ বলে ১ চারে ১১ রানে অপরাজিত আছেন। ওদিকে নিখুঁত শট খেলা অপর ব্যাটার সাদমান ২ চারে অপরাজিত ১২ রানে।

পাকিস্তান এখন পর্যন্ত ব্যবহার করেছে তিন বোলার। শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ ও খুররম শেহজাদের কেউই এনে দিতে পারেননি সাফল্য। যদিও শেষবেলায় ব্যাট করাটা মোটেও সহজ ছিল না সাদমান ও জাকিরের জন্য। এর আগে তৃতীয় সেশনের মাঝমাঝি সময়ে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা। বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম দিনের ৪ উইকেটে ১৫৮ রান নিয়ে খেলতে নেমেছিল তারা। ছয়ে নামা উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান পাচ্ছিলেন ডাবল সেঞ্চুরিস সুবাস। কিন্তু অধিনায়ক শান মাসুদের ইনিংস ঘোষণার সিদ্ধান্তে তাকে আটকে যেতে হয় অপরাজিত ১৭১ রানে। ৩১ টেস্টের ক্যারিয়ারে এটি তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ২৩৯ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন ১১ চার ও ৩ ছক্কা। শাহিন চালিয়ে খেলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২৪ বলে করেন অপরাজিত ২৯ রান।

এদিন বাংলাদেশের বোলাররা একদমই সুবিধা করতে পারেননি। রোদ ঝলমলে দিনে তাদের হতাশা বাড়ান পাকিস্তানের ব্যাটাররা। প্রথম সেশনে ৯৬ রান তুলতে কোনো উইকেট হারায়নি পাকিস্তান। দ্বিতীয় সেশনে সৌদ শাকিলের উইকেট খুইয়ে তারা যোগ করে ১১৩ রান। ইনিংস ঘোষণার আগে তৃতীয় সেশনে ওঠে ৮১ রান। এসময় পড়ে আগা সালমানের উইকেট। অফ স্পিনার মেহেদী হাসান হাসানের কল্যাণে দিনের প্রথম সাফল্য পায় বাংলাদেশ। পঞ্চম উইকেটে ২৪০ রানের বিশাল জুটি ভাঙেন তিনি। ২৬১ বলে ৯ চারে ১৪১ রান করে আউট হন শাকিল। তাকে ফেরাতে বড় ভূমিকা রাখেন উইকেটরক্ষক লিটন দাস। মিরাজের বল ধরে দারুণ ক্ষিপ্রতায় স্টাম্পিং করেন তিনি। পাকিস্তানের পুঁজি যখন চারশ ছুঁইছুঁই, তখন সাজঘরের পথ ধরেন সালমান। বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আল হাসানের বল অন সাইডে খেলার চেষ্টায় টাইমিং করতে পারেননি ঠিকঠাক। পয়েন্টে ক্যাচ নেন মিরাজ। ৩৬ বলে ১ চারে সালমানের রান ১৯।

আগের দিন সকালে বল হাতে অসাধারণ ছিলেন দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ। সারা দিনে তারা নিয়েছিলেন দুটি করে উইকেট। সেই ধারাবাহিকতা বজায় পারেননি তারা। আরেক পেসার নাহিদ রানার লাইন ও লেংথ এদিনও ঠিকঠাক হয়নি। ১৯ ওভারে দিয়ে ফেলেন ১০৫ রান। পাননি কোনো উইকেট।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত