নেপালের কাছে হেরে গ্রুপ রানার্সআপ বাংলাদেশ

প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। নেপালের বিপক্ষে ড্র করলেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতো মিরাজুল ইসলামরা। কিন্তু নেপালের কাছে ২-১ গোলে হেরে ‘এ গ্রুপের রানার্সআপ হয়েছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। স্বাগতিকরা দুই ম্যাচ জিতে গ্রুপ সেরা হয়ে সেমিফাইনাল খেলবে।

আজ ভারত-মালদ্বীপ ম্যাচের ফলের ওপর নির্ভর করবে বাকি দুই সেমিফাইনালিস্ট কোন দল। গতকাল বৃহস্পতিবার কাঠমান্ডুর আনফা কমপ্লেক্সে ম্যাচ শুরুর ১৬ মিনিটে নিজেদের ভুলে গোল হজম করে বাংলাদেশ। তাদের আক্রমণ নস্যাৎ করে এক ডিফেন্ডার নিজেদের অর্ধ থেকে বল ক্লিয়ার করেন। তখন গোলপোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এলেও বল ঠিকঠাক দুই পায়ে জমাতে পারেননি মেহেদী হাসান শ্রাবন। বল পায়ে রেখে থ্রু দেয়ার আগেই সামির তামাং তড়িৎ ছিনিয়ে নিয়ে ফাঁকায় পোস্টে ঢুকে সহজেই জড়িয়ে দেন জালে। পেছন পেছন শ্রাবন দৌড়েও অসহায় চোখে দেখেছেন দলের পিছিয়ে পড়া! দুই মিনিট পর নেপাল ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয়। অভিনাশের ডান প্রান্তের ক্রসে নিরঞ্জন ধামি দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে তড়িৎ গতিতে পা চালিয়ে দেন। তাতেই স্বাগতিকরা আবারও পেছনে ফেলে দেয় লাল-সবুজ দলকে। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে ৫টি কর্নার আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। তার পরেও গোল পায়নি। ২৭ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে চন্দন রায়ের জোরালো শট গোলকিপার ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন। ৩১ মিনিটে বাংলাদেশ দুজন খেলোয়াড় পরিবর্তন করে। বাংলাদেশ অবশেষে সুফল পায় ৪২ মিনিটে। স্কোরলাইন হয় ২-১। মিরাজুল ইসলামকে ফেলে দিয়েছিলেন দুই ডিফেন্ডার। পেনাল্টি থেকে মিরাজুল গোলকিপারের বিপরীত দিক দিয়ে জাল কাঁপিয়ে ব্যবধান কমিয়ে আনেন। বিরতির পর বল দখলে রেখে আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করেও মারুফুল হকের দল সফল হতে পারেনি। আসলে পরিকল্পিত আক্রমণ বলতে যা বোঝায় তা সেভাবে হয়নি। ৮৫ মিনিটে নোভার হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। শেষ মিনিটে স্বাগতিকদের অবিনাশের ফ্রি-কিক শ্রাবণ প্রতিহত করে ব্যবধান বাড়তে দেননি। যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে বাংলাদেশের একটি প্রচেষ্টা গোলকিপার হাত দিয়ে কোনওমতে আটকে দিয়ে ম্যাচ ড্র হওয়া থেকে রক্ষা করেছেন। তাতে পরাজয়ের হতাশা নিয়েই বাংলাদেশ মাঠ ছাড়ে।