ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের হাতেই

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের হাতেই

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম ইনিংসে বড় পুঁজি গড়েই ইনিংস ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান। ফলে বিদেশের মাঠে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে লাল সবুজ দলের পারফরম্যান্সের গ্রাফ অনুযায়ী শঙ্কাই ভর করেছিল সফরকারী শিবিরে। এই টেস্টের নিয়ন্ত্রণ নিতে দুর্দান্ত কিছু করতে হতো বাংলাদেশকে। আর সেটিই করে দেখালেন টাইগাররা। মুশফিকুর রহিমের অসাধারণ ইনিংস ও মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে রেকর্ড গড়া জুটিতে টেস্টের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতেই রেখেছে বাংলাদেশ। এই টেস্টে এখন দুটি ফলাফল সম্ভব- বাংলাদেশের জয় কিংবা ড্র। চতুর্থ দিন শেষে এমন এক আশার মোড়েই দাঁড়িয়ে শান্তরা। গতকাল শনিবার রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে ৯৪ রানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ১ উইকেটে ২৩ রান তুলে দিন শেষ করেছে পাকিস্তান। এর আগে বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে ৫৬৫ রান করে অলআউট হয়।

শেষ বেলায় আলোকস্বল্পতার কারণে দিনের পুরো খেলা সম্ভব হয়নি। তবে ১১৭ রানে পিছিয়ে থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল স্বাগতিকরা। দুই টাইগার পেসার শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে হাঁসফাঁস করেছেন পাকিস্তানি ব্যাটাররা। বারবারই পরাস্ত হয়েছেন। তৃতীয় ওভারেই আসে সাফল্য। শরিফুল ইসলামের লেন্থ বলে পেছনের পায়ে ভর করে খেলতে চেয়েছিলেন সাইম আইয়ুব। বলে ব্যাটে কানা ছুঁয়ে চলে যায় উইকেটরক্ষক লিটন দাসের হাতে। ৩ বলে ১ রান করেছেন এই ওপেনার। এরপর অধিনায়ক শান মাসুদকে নিয়ে দিনের বাকিটা কাটিয়ে দেন আবদুল্লাহ শফিক। অধিনায়ক ৯ রানে এবং শফিক ১২ রানে ব্যাটিং করছেন। এর আগে সকালে ৫ উইকেটে ৩১৬ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে স্কোরবোর্ডে আর ১৬ রান যোগ করতেই লিটন দাসকে হারায় বাংলাদেশ। ৭৮ বলে ৫৬ রান করে নাসিম শাহর শিকার হন লিটন। তাতে ভাঙে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ১১৪ রানের জুটি। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ১৯৬ রানের রেকর্ড জুটি গড়ে তোলেন মুশফিক। এর আগে ২০১০ সালে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসান হেমিল্টনে সপ্তম উইকেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গড়েছিলেন ১৪৫ রানের জুটি। রেকর্ড জুটি গড়লেও নিজে আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন মুশফিক। যদিও পেয়েছেন নিজের একাদশ সেঞ্চুরি। তবে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরিটাও পেয়ে যেতে পারতেন। নার্ভাস নাইন্টিজে থামতে হয় মোহাম্মদ আলীর এক্সট্রা বাউন্সে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ৩৪১ বলে ২২টি চার ও ১টি ছক্কায় খেলেন ১৯১ রানের ইনিংস।

মুশফিকের বিদায়ের পর বাংলাদেশের লিড বড় করার দায়িত্বটা এসে পড়ে মিরাজের কাঁধে। তবে খুব বেশি দূর আগাতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৭৭ রানে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে স্লিপে সালমান আগার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। ১৭৯ বলে ৬টি চারের সাহায্যে এই রান করেন এই অলরাউন্ডার। ১৮টি বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি হাসান মাহমুদ।

তবে শরিফুল ইসলাম দারুণ কয়েকটি শটে ২২ রানের ক্যামিও খেলেন। ২টি করে চার ও ছক্কায় এই রান করেন ১৪ বলে। নাহিদ রানা ১ রানে অপরাজিত থাকেন। পাকিস্তানের পক্ষে শুরুতে কিছু করতে না পারলেও শেষ দিকে এসে জোড়া উইকেট শিকার করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। তবে ৯৩ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার নাসিম শাহ। এ ছাড়া খুররম শেহজাদ ও মোহাম্মদ আলীও পান ২টি করে উইকেট।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত