ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর দেখা যাবে না গ্যাব্রিয়েলকে

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর দেখা যাবে না গ্যাব্রিয়েলকে

মরা পিচেও যিনি প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে পারতেন, এক সময় গতি ও বাউন্সে যিনি ব্যাটসম্যানদের নাভিশ্বাস তুলে ছাড়তেন, সেই শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকে আর দেখা যাবে না আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। চোটের কারণে অনেক দিন ধরেই মাঠের বাইরে এই ক্যারিবিয়ান গতি তারকা। ৩৬ পেরুনো ডানহাতি পেসার আগে একাধিকবার ঘুরে দাঁড়ালেও এবার হাল ছেড়ে দিলেন, আর লম্বা করলেন না ক্যারিয়ার। সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় বলে দিলেন তিনি। গতকাল বুধবার ইন্সটাগ্রামে এক যুগের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানার কথা জানান গ্যাব্রিয়েল, ‘আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে গত ১২ বছর ধরে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালোবাসার খেলাটা খেলেছি, সর্বোচ্চ পর্যায়ে আনতে নিজেকে নিংড়ে দিয়েছি। কিন্তু সব ভালো জিনিসই একটা সময় গিয়ে থেমে যায়। আজ আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আমার অবসর ঘোষণা দিচ্ছি।’ ২০১২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন গ্যাব্রিয়েল। পরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলেছেন। তবে রঙিন পোশাকে থিতু হতে পারেননি কখনোই। টেস্টেও দলে জায়গা পাকা করতে লড়তে হয়েছে অনেক দিন। দলে যাওয়া-আসা করতে হয়েছে। তবে ২০১৭ সাল থেকে দেখা গেছে তার সেরাটা। এক পর্যায়ে টেস্টে দলের মূল পেসার হয়ে ওঠেন তিনি। আইসিসি টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে সেরা দশে জায়গা করে নেন। দারুণ কিছু জয় তার হাত ধরে এসেছে। নিজের উচ্চতা ও পেশিকে কাজে লাগিয়ে প্রাণহীন পিচেও তিনি ব্যাটসম্যানদের জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারতেন। তার গতি ও বাউন্স দেখে এক পর্যায়ে তাকে প্যাট্রিক প্যাটারসন, ইয়ান বিশপের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন ক্যারিবিয়ান পেস কিংবদন্তি কোর্টনি ওয়ালশ।

৫৯ টেস্টে ১৬৬ উইকেট নিয়ে শেষ হলো তার ক্যারিয়ার। এছাড়া ২৫ ওয়ানডে খেলে তার শিকার ৩৩টি, দুটি টি-টোয়েন্টিতে উইকেট তিনটি। ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেন্ট লুসিয়া টেস্টে দেখা গেছে তার সেরাটা। ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে সেই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটে পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬২ রানে শিকার করেন ৮ উইকেটে। ম্যাচে তার ১২১ রানে ১৩ উইকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট ইতিহাসের চতুর্থ সেরা বোলিং। ২০১৭ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে বারবাডোজে বিধ্বংসী বোলিংয়ে ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে ম্যাচ জিতিয়েওয়েস্ট ইন্ডিজকে সিরিজে ফেরান তিনি। তবে পরের টেস্টে প্রবল সমালোচিত হন তিনি ব্যাটিংয়ের কারণে। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন ক্রিজে যান, টেস্ট ড্র করতে তার কেবল সাতটি বল বাকি ছিল। কিন্তু লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহকে স্লগ করতে গিয়ে তিনি বোল্ড হয়ে যান। ম্যাচ জিতে সিরিজও জিতে নেয় পাকিস্তান। এই স্মৃতিগুলোই এখন তার সঙ্গী।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত