ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বাংলাদেশ-পাকিস্তান দ্বিতীয় টেস্ট

বৃষ্টির নিয়ন্ত্রণে প্রথম দিনের খেলা

বৃষ্টির নিয়ন্ত্রণে প্রথম দিনের খেলা

অবিস্বরণীয় জয়ে ইতিহাস গড়ার পর আরো বড় অর্জনের হাতছানি বাংলাদেশ দলের সামনে। রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ড্র করলেই পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার সিরিজ জয়ের স্বাদ পাবে টাইগাররা। এমন লক্ষ্য সামনে রেখেই গতকাল শুক্রবার রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে মাঠে নামার কথা ছিল লাল সবুজের প্রতিনিধিদের। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়াল বিরূপ প্রকৃতি। আগের রাতেও হয়েছে এক পলশা বৃষ্টি। টস শুরুর ঠিক আগে আরো একবার মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলে নির্ধারিত সময়ে টস অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় মাঠ পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল আম্পায়ারদের। তবে টানা বর্ষণের কারণে তা সম্ভব হয়নি। অবিরাম বৃষ্টি ও ভেজা আউটফিল্ডের কারণে শেষ পর্যন্ত মাঠ খেলার অনোউপযোগী হয়ে পড়ে। মধ?্যাহ্ন বিরতির পর প্রথম দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন ম?্যাচ অফিসিয়ালরা।

বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল আগের থেকেই। আকু ওয়েদার অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার রাওয়ালপিন্ডিতে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল ৮৫ শতাংশ। সেটাই হয়েছে। সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ছিল। সময়ের সঙ্গে বৃষ্টি বাড়তে থাকে। তার সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে থাকে। দুপুরের পর সেই বৃষ্টি আরো বেড়ে যায়। এ অবস্থায় ম্যাচ পরিচালনা করা সম্ভব না তা বুঝে যান অফিসিয়ালরা। এ জন্য প্রথম দিনের খেলা বাতিল ঘোষণা করেন তারা। প্রথম দিনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ম্যাচের বাকি দিনগুলোতে ত্রিশ মিনিট করে অতিরিক্ত খেলা হতে পারে।

তবে গত কয়েকদিন ধরেই বৈরী আবহাওয়ার কবলে রাওয়ালপিন্ডি। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, বৃষ্টি বাগড়া দিতে পারে পিণ্ডি টেস্টের পরের দিনগুলোতেও। তাই রাওয়ালপিন্ডিতে ফলাফল আসার সম্ভাবনা খুবই কম। ম্যাচ ড্র হলে সিরিজ জিতবে বাংলাদেশ। তাই কিছুটা হলেও নির্ভার থাকবে সফরকারীরা। বাংলাদেশ-পাকিস্তানের চলমান এই সিরিজ ২০২৩-২৫ আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। তাই উভয় দলের জন্যই শেষ ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম টেস্টে স্বাগতিকদের ১০ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে আছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। প্রথম টেস্টে দারুণ জয়ে সিরিজে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। এবার তাদের হাতে বড় সুযোগ সিরিজ জিতে নেয়ার। অন্যদিকে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া পাকিস্তানও। এর মধ্যেই দলে একজন লেগস্পিনার অন্তর্ভুক্ত করেছে তারা। আবরার আহমেদ এসেছেন স্কোয়াডে। অন্যদিকে উইকেট ও কন্ডিশন দেখে একাদশে পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।

২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর বাংলাদেশ ৩২টি অ্যাওয়ে সিরিজের মধ্যে মাত্র দুটি জিততে পেরেছে। তার মধ্যে ছিল ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আর ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জয়। ড্র হয়েছে ৩টি। আর হেরেছে ২৭টি। পরিসংখ্যানের হিসেবে অ্যাওয়ে টেস্ট ম্যাচ জয়ও বাংলাদেশের জন্য দুর্লভ। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়ের আগে সেই সংখ্যাটা ছিল ৬। সেই জায়গায় সিরিজের প্রথম টেস্ট জয়টা ছিল তাদের ইতিহাসে সেরা। এই টেস্টে পাকিস্তান চাপে থাকবে বেশি। সমতা ফেরাতে তাদের জয় ছাড়া বিকল্প নেই। বাংলাদেশের প্রয়োজন শুধু ড্র।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত