ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

লর্ডসে অ্যাটকিনসনের ইতিহাস

লর্ডসে অ্যাটকিনসনের ইতিহাস

পেসার লাহিরু কুমারার ফুল লেংথ বলটি অফ ড্রাইভ করলেন গাস অ্যাটকিনসন। মিড-অফ ফিল্ডার কোনো সুযোগই পেলেন না, বল চলে গেল বাউন্ডারিতে। ৯৯ থেকে অ্যাটকিনসন পৌঁছে গেলেন কাঙ্ক্ষিত তিন অঙ্কের ঘরে। গড়লেন দারুণ এক কীর্তি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় দিন সেঞ্চুরি করেন অ্যাটকিনসন। ইংলিশ এই পেসার আট নম্বরে নেমে ১৪ চার ও ৪ ছক্কায় খেলেন ১১৫ বলে ১১৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। পুরুষ ক্রিকেটার হিসেবে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে লর্ডসের তিন অনার্স বোর্ডেই (ইনিংসে ৫ উইকেট, ম্যাচে ১০ উইকেট ও ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি) নাম তুললেন তিনি। এ জন্য দুই ম্যাচে তার লাগল স্রেফ ৪ ইনিংস (ব্যাটিং-বোলিং মিলিয়ে)। ছাড়িয়ে গেলেন ইংলিশ কিংবদন্তি স্যার ইয়ান বোথামকে। সাবেক অলরাউন্ডার বোথামও লর্ডসের তিন অনার্স বোর্ডে নাম তুলেছিলেন দুই ম্যাচে, তবে তার লেগেছিল ৬ ইনিংস।

গত মাসে লর্ডসেই অ্যাটকিনসনের টেস্ট অভিষেক হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। বল হাতে অভিষেক ইনিংসে তিনি নেন ৭ উইকেট। ইংল্যান্ডের ইনিংস ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে তার শিকার ছিল ১২ উইকেট। ওই ম্যাচে ব্যাট হাতে একমাত্র ইনিংসে প্রথম বলে আউট হয়ে তিনি পেয়েছিলেন ‘গোল্ডেন ডাক’-এর তেতো স্বাদ। সেই লর্ডসেই এবার তিনি উপহার দিলেন দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। প্রথম দিন ইংল্যান্ড ২১৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ব্যাট হাতে নামেন ২৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। সপ্তম উইকেটে ৯২ রানের জুটি গড়েন জো রুটের সঙ্গে, যিনি সেঞ্চুরি করেন প্রথম দিনই। দ্বিতীয় দিন অষ্টম উইকেটে ম্যাথু পটসের সঙ্গে ৮৫ রানের আরেকটি কার্যকর জুটির পথে অ্যাটকিনসন সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ১০৩ বলে। লর্ডসে ষষ্ঠ দ্রুততম সেঞ্চুরি এটি।

পেশাদার ক্রিকেটে অ্যাটকিনসনের প্রথম সেঞ্চুরি এটিই। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার আগের সেরা ইনিংস ছিল ৯১। সাচিন টেন্ডুলকার, রিকি পন্টিং, ভিরাট কোহলির মতো গ্রেট ব্যাটসম্যানরা লর্ডসে কখনো টেস্ট সেঞ্চুরি করতে পারেননি। অ্যাটকিনসন সেই স্বাদ পেয়ে গেলেন এই মাঠে দ্বিতীয়বার ব্যাট হাতে নেমেই। ক্যারিয়ারের প্রথম ৪ টেস্টের ৫ ইনিংসে ব্যাট হাতে অ্যাটকিনসনের সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ২১। এবার প্রথম ফিফটি করে সেটিকে সেঞ্চুরিতে রূপান্তর করলেন তিনি। লর্ডসে ইনিংসে ৫ উইকেট, ম্যাচে ১০ উইকেট এবং ব্যাট হাতে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়া ষষ্ঠ ক্রিকেটার অ্যাটকিনসন। তার আগে এই অর্জনে নাম লেখান ইংল্যান্ডের গাবি অ্যালেন, স্টুয়ার্ট ব্রড, বোথাম, ক্রিস ওকস ও অস্ট্রেলিয়ার কিথ মিলার।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত