পূর্বাচলে নতুন নকশায় মাঠের কাজ শুরু হবে

প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

২০৩১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ সামনে রেখে পূর্বাচলে একটি স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বোর্ড সেই স্টেডিয়ামের নাম দিয়েছিলেন ‘দ্য বোট’ শেখ হাসিনা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম। কিন্তু ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর সেটি ভেস্তে গেছে। বিশাল বাজেটের সে স্টেডিয়ামের দরপত্র বাতিল করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর পূর্বাচলে স্টেডিয়ামের জন্য বরাদ্দকৃত জমি পরিদর্শন করেছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। তিনি জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে বড় স্টেডিয়ামের বাজেট পোষাতে পারবেন না। আপাতত বিসিবির পরিকল্পনা খেলা উপযোগী মাঠ তৈরি করা। এই মুহূর্তে হয়তো এত বড় বাজেট আমরা এফোর্ট করতে পারবো না। খুব দ্রুত সেখানে নতুন নকশায় মাঠ তৈরির কাজ শুরু হবে।’ তবে নতুন নকশায় হলেও পরামর্শকদের আগের পরামর্শগুলো বিবেচনায় নেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

গত বৃহস্পতিবার বোর্ড সভাতে স্টেডিয়ামে টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিল করে বিসিবি। এই মুহূর্তে বড় মাপের কোনো কিছু করা সম্ভব নয় বলেই বিসিবি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগের পরিকল্পনায় শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের পাশাপাশি অত্যাধুনিক ক্রিকেট একাডেমি, পর্যাপ্ত অনুশীলন মাঠ, ইনডোর মাঠ, খেলোয়াড়দের আধুনিক আবাসন ব্যবস্থা, বিসিবির সদর দপ্তর এবং একটি পাঁচ তারকা হোটেল রাখার কথা ছিল।

এতো কিছু না করলেও আপাতত খেলার উপযোগী করে কিছু করার চিন্তা বিসিবির। এক প্রশ্নের জবাবে ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘এখন আমরা এটাকে যত তাড়াতাড়ি মাঠের শেইপ দিতে পারি, এটা আমাদের একটা প্রায়োরেটি। পাশাপাশি যে স্টেডিয়ামগুলো সংস্কার করার কথা ছিল, এগুলোর কাজও অব্যাহত থাকবে।’

অতি দ্রুত মাঠ তৈরির ধাপগুলো শুরুর করার পরিকল্পনা বিসিবির। ফারুক আহমেদের কথা, ‘দুইটা মাঠের এখানে অনুমতি ছিল, বড় স্টেডিয়াম হওয়ার কথা ছিল। এই মুহূর্তে হয়তো এত বড় বাজেট আমরা এফোর্ট করতে পারবো না। সে জন্য এখানে প্রথমে একটা মাঠ দিয়ে শুরু করবো, তারপর পাশের মাঠটা চেষ্টা করবো আর কী। আপনারা শিগগিরই দেখতে পারবেন মাঠের কাজ শুরু হতে।’

সরকার থেকে নামমাত্র মূল্যে ৩ হাজার ৭৩৫.৭০ শতাংশ জায়গা পায় বিসিবি। যার বাজার মূল্য প্রয় ৩ হাজার ৫৪৯ কোটি ৪২ লাখ ৩২ হাজার ৮৭২ টাকা। স্টেডিয়ামের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯০০ কোটি টাকা। তবে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রায় দেড় হাজার কোটি পর্যন্ত বাজেটের কথাও শোনা যাচ্ছিল।

এরই মধ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান পপুলাশকে ৭৬ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে বোর্ড। বিসিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের তো এরই মধ্যে একটা পরামর্শে বিনিয়োগ হয়ে গেছে। ওটাকে ধরে বড় কোনো পরিবর্তন না করে আগাতে হবে। কেন না হয় কী আপনি তো একদিনে সব করতে পারবেন না।’

‘প্রথমত মাঠ, ড্রেসিংরুম তৈরি করবেন। ওদের যে পরিকল্পনা ছিল...চেষ্টা করবো। ওদের যে প্ল্যান ছিল আমি দেখি নাই। এটা আসলে বলা ঠিক হবে না। তারপরও যতটুকু সাধারণ জ্ঞানে বোঝা যায়, ওই পরামর্শ অনুযায়ী মাঠটা করবো।’

পূর্বাচলের এই স্টেডিয়ামটি ছিলে নৌকার আদলে। আর স্টেডিয়ামটির নামকরণ করার কথা ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে। এই মুহূর্তে স্টেডিয়ামটির ডিজাইন বদল নিশ্চিত হলেও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নামে হবে কি না, সেই ব্যাপারে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কোর্টেই বল ঠেলে দিলেন ফারুক, ‘এটা ক্রিকেট বোর্ডে...এটা ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে আছে। সবাই মিলে একটা সিদ্ধান্ত হবে।’

এরই মধ্যে স্টেডিয়াম নির্মাণকে কেন্দ্র করে পরামর্শক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। মাঠ পর্যায়ের কাজগুলোও করা হয়ে গিয়েছিল। এই অবস্থায় বিসিবি ধীরে চলো নীতিতে এগুবে বলে জানিয়েছেন ফারুক, ‘আমাদের তো অলরেডি একটা পরামর্শক বিনিয়োগ হয়ে গেছে। ওটাকে ধরে, বড় কোনো পরিবর্তন না করে, কেন না হয় কী আপনি তো একদিনে সব করতে পারবেন না। প্রথমত মাঠ, ড্রেসিংরুম তৈরি করবেন। ওদের যে পরিকল্পনা ছিল...চেষ্টা করব। ওদের যে প্ল্যান ছিল আমি দেখিনি। তারপরও যতটুকু সাধারণ জ্ঞানে বোঝা যায়, ওই পরামর্শ অনুযায়ী মাঠটা করব।’