নির্বাচন পেছানোর ক্ষমতা আমার নেই

কাজী সালাউদ্দিন

প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর ক্রীড়াঙ্গণে সংস্কারের জোরাল দাবি উঠেছে। এর মধ্যেই পরিবর্তন এসেছে ক্রিকেট বোর্ডে। বিসিবির সভাপতির পদ থেকে সরে গেছেন নাজমুল হাসান পাপন। নতুন সভাপতি হয়েছেন সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ। গত কয়েক দিন ধরেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করে আসছেন কিছু সাবেক খেলোয়াড়, সংগঠক এবং ফুটবল সমর্থক। তারা বাফুফে ভবনের সামনে মানববন্ধন করে কাজী সালাউদ্দিনের পদত্যাগের আলটিমেটাম দিয়েছেন। কিন্তু কাজী সালাউদ্দিন পদত্যাগ করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। আগামী ২৬ অক্টোবর নির্ধারিত নির্বাচনে তিনি আবারও সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। গতকাল শনিবার আরো বড় আকারেই বাফুফে ভবনের সামনে মানববন্ধন হয়েছে কাজী সালাউদ্দিন ও নির্বাহী কমিটির সবার পদত্যাগের দাবিতে। ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদের ব্যানারে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও উপস্থিত ছিলেন এই মানববন্ধনে। বাফুফে কর্মকর্তাদের পদত্যাগ করার ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়ার পাশাপাশি এই মানববন্ধন থেকে নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ারও একটা দাবি উঠেছে। বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক তার বক্তব্যে দেশের বন্যা ও সার্বিক পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে নির্বাচন কিছুদিন পিছিয়ে দেওয়া যায় কি না তা ফিফার সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি ক্রীড়া উপদেষ্টাকেও উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করেন। সময় পেলে আগামীর কমিটি তৈরির জন্য চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে। বাফুফে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে। তখন ফিফার অনুমোদন নিয়ে তা পিছিয়ে ২৬ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়। আবার বাফুফে নির্বাচন পেছানোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, ‘নির্বাচন পেছানোর আমার ক্ষমতা নেই। এটা ফিফার সিদ্ধান্ত। নির্বাচন একবার পিছিয়েছে। দ্বিতীয়বার তো আমি নিজের মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ করতে পারি না ফিফাকে।’ আপনার পদত্যাগের দাবি করা ব্যক্তিরা তো বাফুফে ভবনেও প্রবেশ করেছিলেন। এ বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী? জবাবে কাজী মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘এ নিয়ে আমার কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। নিয়মণ্ডকানুন সব আপনারাও জানেন।’