ভুটানে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন জামাল ভূঁইয়ারা

প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ভুটানের উচ্চতা সাত হাজার ফুট। অন্যদিকে সমুদ্র সমতলে অবস্থান বাংলাদেশের। তাই সেখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পাহাড়ি পথ বেয়ে দৌড়িয়েছেন জামাল-তপু-মিতুলরা। তবে এখনও কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেননি তারা। ভুটানের উচ্চতায় শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে ফুটবলারদের। এরসঙ্গে ভাবাচ্ছে প্রায় তিন মাস পর তাদের আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফেরাটাও। বিরতিতে ফিটনেস নিয়ে কাজ করা হয়নি। যেখানে মৌসুম চলতে থাকায় খেলার মধ্যেই আছেন ভুটানের খেলোয়াড়েরা। তবে আশার কথা প্রথম ম্যাচের আগে মানিয়ে নেয়ার জন্য আরো তিন দিন সময় পাচ্ছেন তারা। গতকাল সোমবার অনুশীলন করার ফাঁকে বাংলাদেশের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা জানি, ভুটানে মৌসুমের মধ্যবর্তী সময় চলছে। তো ওদের খেলোয়াড়রা সবাই ফিট আছে। কীভাবে রক্ষণ সামলাতে হবে, কীভাবে আক্রমণ করতে হবে, সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা জানি, এটা ভুটানের হোম গ্রাউন্ড, তো আমাদের একটু বেশি খেয়াল রাখতে হবে।’

‘(ম্যাচের টার্ফে) আজ প্রথম অনুশীলন করলাম। মাঠ অনেক গতিময়। সবার শ্বাস নিতে একটু সমস্যা হচ্ছে। আরও এক-দুই দিন সময় লাগবে। আমি মনে করি, সবাই বেস্ট শেপে নেই...আস্তে আস্তে সবাই সেরা পর্যায়ে আসছে।’ শ্বাস নেয়ায় সমস্যার কথা বললেন মিডফিল্ডার সোহেল রানাও, ‘অবশ্যই ম্যাচগুলো জয়ের চেষ্টা করব। র‌্যাঙ্কিংয়ে যদি আমরা ভালো অবস্থানে থাকতে চাই, তাহলে... অবশ্যই জয়ের জন্য মাঠে নামব। যে মাঠে খেলব, সেখানে আজ প্রথম আমরা অনুশীলন করেছি। আমাদের শ্বাস নিতে একটু কষ্ট হচ্ছে। তবে আমরা এখনও দুই দিন সময় পাব এই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার জন্য।’ তবে সব প্রতিকূলতা মানিয়ে নিয়ে ভালো খেলার প্রত্যয় দেখান ডিফেন্ডার রহমত মিয়া, ‘তিন মাস বিরতি দিয়ে আমরা জাতীয় দলে যোগ দিয়েছি, যেহেতু সবার ফিটনেস আপ টু দ্য মার্ক নয়, সবাই চেষ্টা করছি এখানকার আবহাওয়া ও কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে। যেহেতু আর্টিফিশিয়াল টার্ফে খেলা, স্বভাবতই আমরা ঘাসের মাঠে খেলে অভ্যস্ত, ফলে মানিয়ে নিতে আমাদের একটু সমস্যা হচ্ছে।’ এই ডিফেন্ডার যোগ করেন ‘তবে এই টার্ফের সাথে মানিয়ে নিয়ে কিভাবে আমরা ভালো করতে পারি, কোচিং স্টাফরা সেটা নিয়ে কাজ করছেন। আশা করছি, আমাদের হাতে যে দুইটা দিন আছে, সেটা আমাদের সাহায্য করবে এবং ইনশাআল্লাহ আমরা ভালো করতে পারব।’