ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ক্রীড়াবিদদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা নিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টার মন্তব্য

* ক্রীড়াবিদদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা নতুন নয় * খেলা চালিয়ে যাওয়ার সময় রাজনীতি করা উচিত নয় * বিজ্ঞাপন ও ব্যবসায় ক্রীড়াবিদদের জন্য নীতিমালা প্রয়োজন * বেটিং এন্ডোর্সমেন্ট নিয়ে সতর্কতা
ক্রীড়াবিদদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা নিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টার মন্তব্য

খেলার মাঠ থেকে রাজনীতির অঙ্গনে ক্রীড়াবিদদের প্রবেশ নতুন কিছু নয়। অনেক ক্রীড়াবিদ অবসর নেয়ার পর রাজনীতিতে যুক্ত হন, তবে কিছু ব্যতিক্রমও দেখা গেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা খেলা চালিয়ে যাওয়ার সময়েই জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

পরবর্তীতে সাকিব আল হাসানও একই পথে হেঁটেছেন এবং এই সিদ্ধান্তের জন্য সমালোচনার শিকার হয়েছেন। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ক্রীড়াবিদদের খেলার পাশাপাশি রাজনীতি করা সমর্থন করেন না। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে তার দৃষ্টিভঙ্গি আরো সুস্পষ্ট।

সম্প্রতি ক্রিকবাজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘কেউ যদি খেলা থেকে অবসর নেয়ার পর রাজনীতিতে যোগ দিতে চায়, সেটা ঠিক আছে। তবে খেলা চালিয়ে যাওয়া অবস্থায় রাজনীতিতে জড়ানো উচিত নয়। এতে পেশাদারিত্বের অভাব দেখা দেয় এবং স্বার্থের সংঘাত সৃষ্টি হয়।

আমি আগেও এ নিয়ে বলেছি।’ রাজনীতি ছাড়াও ক্রীড়াবিদদের বিজ্ঞাপন ও ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা নিয়েও একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। তিনি উল্লেখ করেন, ‘শুধু রাজনীতি নয়, কিছু বিজ্ঞাপনও আছে যা আইন ও জনস্বার্থের পরিপন্থী। ক্রীড়াবিদরা ব্যবসায় যুক্ত হতে পারেন, তবে তাদের জন্য নীতিমালা থাকা উচিত কী তারা করতে পারবেন আর কী পারবেন না।’ তিনি আরো বলেন, ভারতের কিছু ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে বেটিং এন্ডোর্সমেন্টের অভিযোগ আছে, এমনকি বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের নামও এসেছে। তাই তিনি মনে করেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এ বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি করতে সক্ষম।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত