সর্বশেষ বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করেছিলেন রঙ্গনা হেরাথ। টাইগারদের দায়িত্ব ছাড়ার পর বিশ্রামেই সময় পার করছিলেন তিনি। এবার আবারো কোচিংয়ে ফিরছেন এই লঙ্কান। সংক্ষিপ্ত মেয়াদে স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি করেছেন হেরাথ। নিউ জিল্যান্ডের কোচিং স্টাফে কাজ করবেন বিক্রম রাঠোরও।
ভারতের গ্রেটার নয়ডা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচ খেলবে নিউজিল্যান্ড। এরপর অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজও খেলবে কিউইরা। এই সিরিজকে সামনে রেখে কোচিং স্টাফের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ভারতের সাবেক ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর। এবং স্পিন বোলিং কোচ হিসাবে কিউই দলের সাথে থাকবেন রঙ্গনা হেরাথ। এশিয়ায় আসন্ন তিন টেস্ট ম্যাচ সামনে রেখে তাদের নিয়োগ হয়েছে, এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। ২০১২ সালে ভারতের জাতীয় দলের নির্বাচক হন বিক্রম রাঠোর। ৯০ এর দশকের শেষদিকে ভারতের হয়ে ছয়টি টেস্ট খেলেছিলেন তিনি। ভারতের সাবেক প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের অধীনে শক্তিশালী ভারতীয় ব্যাটিং ইউনিটের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রাঠোর। এবং ভারতকে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ে তার ভূমিকা ছিলো অনন্য। এশিয়ায় আসন্ন তিনটি টেস্টের জন্য স্পিন বোলিং কোচ হিসাবে শ্রীলঙ্কার সাবেক স্পিনার রঙ্গনা হেরাথকে নিয়োগ দিয়েছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল। এতদিন সাকলাইন মুশতাক কিউইয়ের অস্থায়ী কোচের ভূমিকা পালন করেছিলেন। চলতি মাসের শেষের দিকে শ্রীলঙ্কায় দুই ম্যাচসহ তিনটি টেস্টের জন্য নিউজিল্যান্ডের কোচিং স্টাফদের সঙ্গে থাকবেন হেরাথ। নিউজিল্যান্ডের প্রধান কোচের কোচ গ্যারি স্টেড বলেছেন, হেরাথ এবং রাঠোর দলে শুধু নতুন জ্ঞানই আনবে না বরং স্থানীয় অবস্থা সম্পর্কেও ধারণা দেবে।
আমাদের টেস্ট দলে রঙ্গনা এবং বিক্রমকে পেয়ে আমরা সত্যিই উচ্ছ্বসিত। গ্যাসি স্টেড বলেন, ‘দুইজনকেই ক্রিকেট বিশ্ব সম্মান করে এবং আমি জানি আমাদের খেলোয়াড়রা সত্যিই তাদের কাছ থেকে শেখার সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে। ‘আমাদের তিন বাঁহাতি অর্থোডক্স স্পিনার, বিশেষ করে আজাজ, মিচ এবং রাচিনের জন্য, উপমহাদেশে তিনটি টেস্ট জুড়ে রঙ্গনার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাওয়া অত্যন্ত উপকারী হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘রঙ্গনা শ্রীলঙ্কার গল স্টেডিয়ামে ১০০ টিরও বেশি টেস্ট উইকেট নিয়েছেন যেখানে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমাদের দুটি টেস্টের ভেন্যু এবং তাই সেই ভেন্যু সম্পর্কে তার জ্ঞান আমাদের কাছে অমূল্য হবে।’
