১০ বছর পর ইংল্যান্ডকে হারালো শ্রীলঙ্কা

প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া ডেস্ক

‘আর ৫ রান। ম্যাথিউস কি ছক্কা মেরে শেষ করবেন?’ ধারাভাষ্য কক্ষে বললেন নাসের হুসেইন। সে পথে হাঁটলেন না অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। এক রান নিয়ে স্ট্রাইক দিলেন পাথুম নিসাঙ্কাকে। এক বল পর শোয়েব বাশিরকে স্কয়ার কাটে চার মেরে ম্যাচ শেষ করলেন ওপেনার। একই সঙ্গে ঘোচালেন ১০ বছরের অপেক্ষা। আরেকটি অবিস্মরণীয় জয়ের সাক্ষী হলো লঙ্কান ক্রিকেট। ২০১৪ সালের পর ইংল্যান্ডকে টেস্ট ক্রিকেটে হারের স্বাদ দিলো শ্রীলঙ্কা। সেটিও আবার প্রতিপক্ষের দুর্গে গিয়ে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। অথচ প্রথম দুই টেস্ট হেরে হোয়াইটওয়াশের শঙ্কায় ছিল লঙ্কানরা। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ৩২৫ রানের জবাবে ২৬৩ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। এতে প্রথম ইনিংসে ৬২ রানে লিড পায় ইংল্যান্ড। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে লঙ্কান পেসারদের তোপের মুখে ১৫৬ রানেই থামে স্বাগতিকরা।

হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে ২১৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে তারা। ১২৪ বলে ১২৭ রানে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন পাথুম নিশাঙ্কা। অন্য প্রান্তে ৬১ বলে ৩২ রানে টিকে ছিলেন ম্যাথিউস। তিন ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকার পর তৃতীয় তথা শেষ টেস্টে চতুর্থ দিনের শুরুতেই হারল ইংল্যান্ড। স্বাগতিকদের বিপর্যয়ের শুরু দ্বিতীয় ইনিংসে।

৬২ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কার চার পেসার লাহিরু কুমারা, বিশ্ব ফার্নান্দো, আসিথা ফার্নান্দো ও মিলান রত্ননায়েকের তোপে মাত্র ৮২ রানের ব্যবধানে ৭ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এ সময় সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন ওপেনার ড্যানে লরেন্স। অষ্টম উইকেটে ওলি স্টোনকে নিয়ে ৪৪ বলে ৫৮ রান করেন উইকেটরক্ষক জেমি স্মিথ। এর মধ্যে স্মিথের সংগ্রহ ছিল ১৯ বলে ৫২ রান। দলীয় ১৪০ রানে স্মিথকে বিদায় দেন বিশ্ব। এরপর ১৫৬ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটি সর্বনিম্ন স্কোর ইংল্যান্ডের। ওভালের এই ভেন্যুতেই ১৯৯৮ সালে ১৮১ রানে অলআউট হয়েছিল তারা। ঐ ম্যাচ ১০ উইকেটে জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। ১০টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫০ বলে ৬৭ রান করেন স্মিথ। কুমারা ৪টি, বিশ্ব ৩টি, আসিথা ২টি ও রত্ননায়েকে ১টি উইকেট নেন। ২১৯ রানের টার্গেটে ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিসের মারমুখী ব্যাটিংয়ে তৃতীয় দিনের শেষ ভাগে ১৫ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৯৪ রান তুলেছিল শ্রীলংকা। ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে ৮ রানে ফিরলেও, ৭টি চারে নিশাঙ্কা ৪৪ বলে ৫৩ এবং কুশল ৬টি বাউন্ডারিতে ২৫ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন। চতুর্থ দিন তথা আজ সহজ সমীকরণ নিয়েই মাঠে নামে সফরকারীরা। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাকি দু’দিনে আরো ১২৫ রান করতে হতো লঙ্কানদের। হাতে উইকেট ৯টি। আগের দিন অপরাজিত থাকা কুশল মেন্ডিস ব্যক্তিগত ৩৯ রানে ফিরে গেলেও ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট শতক হাঁকিয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন পাথুম নিশাঙ্কা।