ঢাকা ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

এবার বিসিবি ছাড়লেন সুজন

এবার বিসিবি ছাড়লেন সুজন

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর থেকে দেশে পরিবর্তনের জোয়ার বইছে। সেই হাওয়া লেগেছে ক্রীড়াঙ্গণেও। এ অঙ্গণে পরিবর্তনের শুরুটা হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) দিয়ে। সংস্থাটির সভাপতি পদত্যাগ করেছেন আগেই। সরে দাঁড়িয়েছেন অনেক পরিচালক। ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে পদত্যাগের তালিকা। তালিকায় এবার নতুন নাম সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। গতকাল বুধবার বিসিবির পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সাবেক এই ক্রিকেটার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, সুজন ই-মেইলে তার পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন নতুন বোর্ড প্রধান ফারুক আহমদকে। ২০১৩ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিসিবির পরিচালক হয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক সুজন। দায়িত্ব ছাড়ার আগে গত ১১ বছরে বোর্ডের বিভিন্ন কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন তিনি। ৫৩ বছর বয়সি সুজন সবশেষ ছিলেন বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান। সঙ্গে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের সহ-সভাপতির ভূমিকায় ছিলেন। বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের দায়িত্বে সুজন ছিলেন লম্বা সময়। তার মেয়াদকালে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতে।বোর্ড পরিচালক থাকাকালীন আরো কিছু দায়িত্বে দেখা গেছে সুজনকে। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ ও ম্যানেজারের ভূমিকায় কাজ করেছেন।

গত ৫ আগস্ট আগের সরকারের পতনের পর থেকে বিসিবিতে পদত্যাগের মিছিল চলছে। সুজনের আগে ই-মেইলের মাধ্যমে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছিলেন সাবেক বিসিবিপ্রধান নাজমুল হাসান পাপন, বিসিবির নারী উইংসের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও নাইমুর রহমান দুর্জয়। এ ছাড়াও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধীনে নির্বাচিত হওয়া সাবেক বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুসও পদত্যাগ করেন। সরকার পরিবর্তনের পর থেকে বিসিবির অনেক পরিচালকই ছিলেন আত্মগোপনে। নতুন সভাপতি হিসেবে ক্রিকেট বোর্ডের হাল ধরেছেন ফারুক আহমেদ। তার উপস্থিতিতে দুটি বোর্ড সভাও হয়ে গেছে। দুটি সভাতেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ও সম্পৃক্ত পরিচালকরা অংশ নেননি। এই তালিকায় ছিলেন- আ জ ম নাসির, নাঈমুর রহমান দুর্জয়, শেখ সোহেল, ইসমাইল হায়দার মল্লিক, অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম, গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা, আহমেদ নজিব, মঞ্জুর কাদের ও ওবেদ নিজামসহ বেশ কয়েকজন। এর আগে গত ২১ আগস্ট ১২তম বোর্ড সভাতেও উপস্থিত ছিলেন না তারা। আর একটি সভায় উপস্থিত না থাকলেই বিসিবি পরিচালকের পদ হারাবেন তারা। তবে থেকে যাবে কাউন্সিলরশিপ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত