‘বার্থডে বয়’ রশিদের ম্যাজিক

রেকর্ড গড়ে দ. আফ্রিকাকে হারালো আফগানিস্তান

প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া ডেস্ক

তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আফগানরা পায় অনায়াস জয়। দ্বিতীয় ম্যাচেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি প্রোটিয়ারা। এবার বড় লক্ষ্য তাড়ায় চাপে শেষ তারা। ১৭৭ রানের বিশাল জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করলো আফগানিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এটিই প্রথম সিরিজ জয় আফগানিস্তানের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের পথে ৫ উইকেট পেয়েছেন রশিদ খান। অথচ হ্যামস্ট্রিং সমস্যায় মাঠ থেকে বের হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল তার। যদিও হাল ছাড়েননি। চোট সমস্যার পরও ঘূর্ণি জাদুতে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন এই লেগ স্পিনার।

গত বৃহস্পতিবার রাতে শারজাহতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩১১ রান করে আফগানিস্তান। জবাবে ৩৪ ওভার ২ বলে ১৩৪ রান করে অলআউট হয়ে যায় প্রোটিয়ারা। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩৮ রান করে বাভুমা বিদায় নিলে ভাঙে ৭৮ রানের উদ্বোধনী জুটি। এরপর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আরেক ওপেনার টনি ডে জর্জি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩১ রান। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় প্রোটিয়া ব্যাটিং লাইনআপ। ৫১ রান তুলতেই শেষের ৯ উইকেট হারায় তারা। ১৯ রান দিয়ে ৫ উইকেট শিকার করেন রশিদ খান।

এর আগে আফগানিস্তান ওপেনিং জুটিতে তোলে ৮৮ রান। ৪৫ বলে ২৯ রান করা তরুণ ওপেনার রিয়াজ হাসানকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলে এই জুটি ভাঙেন এইডেন মার্করাম। এরপর রহমত শাহকে সঙ্গে নিয়ে ১০১ রানের জুটি গড়েন গুরবাজ। এই জুটিতে নিজের সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। নান্দ্রে বার্গারের বলে বোল্ড হওয়ার আগে গুরবাজ ১১০ বলে দশটি চার ও তিনটি ছক্কায় ১০৫ রান করেন। দলীয় ২১৬ রানে বিদায় নেন রহমত। তার ব্যাট থেকে আসে ৬৬ বলে ৫০ রানের ইনিংস। আফগানদের হয়ে শেষের কাজটি বেশ ভালোভাবেই করেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ৫০ বলে পাঁচটি চার ও ছয়টি ছক্কায় ৮৬ রানে অপরাজিত থেকে ইনিংস শেষ করেন তিনি। এ ছাড়া মোহাম্মদ নবির ব্যাটে আসে ১৯ বলে ১৩ রান। ম্যাচসেরার পুরস্কার নেয়ার পর এই স্পিনার বলেছেন, ‘৫ উইকেট হ্যাঁ আমার হ্যামিস্ট্রিংয়ে সমস্যা হয়েছিল। তবে মাঠে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। একই সঙ্গে দলের জন্য নিজের সেরাটা নিংড়ে দেয়ার চেষ্টা করেছি। বড় একটা দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের সুযোগ এসেছিল, তাই যে করেই হোক শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকতে চেয়েছি।’