ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

খুব সাহসী প্রশ্ন, মাশাআল্লাহ

সাকিবকে নিয়ে প্রশ্নে শান্ত
খুব সাহসী প্রশ্ন, মাশাআল্লাহ

একজন অলরাউন্ডার হিসেবে চেন্নাই টেস্টে নিজের সামর্থ্যরে প্রমাণ দিতে পারেননি সাকিব আল হাসান। অবশ্য ব্যাটিং ছাপিয়ে আলোচনায় তার কম বোলিং। প্রথম ইনিংসে ৫৩তম ওভারে বোলিংয়ে দেখা যায় তাকে। ওই ইনিংসে মাত্র ৮ ওভার বোলিং করেছেন এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার। সিরিজের প্রথম টেস্টে ভারতের কাছে বড় হারের পর তাই ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বেশিরভাগ সময় কথা হল সাকিব ইস্যুতে। প্রথম ইনিংসে বল করেছেন ৮ ওভার। উইকেট পাননি, রান দিয়েছেন ৫০। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩ ওভারে সাকিব আল হাসানের খরচ ৭৯ রান। সাদামাটা সাকিব দুই ইনিংসে ২১ ওভার বল করে ৬.১৯ ইকোনমতিতে ১২৯ রান দিলেও পাননি কোনো উইকেট। টেস্ট ক্যারিয়ারে এমন অকাতরে আর রান দেননি সাকিব। ব্যাট হাতেও করতে পারেননি তেমন কিছু। সাকিবের দুটি ইনিংস ৩২ ও ২৫। তাই ধারাভাষ্যে তার ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তামিম ইকবাল। বিবর্ণ এই সাকিব কী কানপুরে পরের টেস্টেও খেলবেন? একটা সময় সাকিবকে ছাড়া যখন একাদশ গড়ার কথা ভাবাই যেত না, সেখানে চেন্নাই টেস্টের পর সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হোসেন শান্তর কাছে তাকে বাদ দেয়ার প্রশ্ন করে বসলেন এক বাংলাদেশি সাংবাদিক। প্রশ্নটা শুনে নাজমুল হাসতে হাসতেই বললেন, ‘খুব সাহসী প্রশ্ন! মাশাআল্লাহ!’ এরপর শুধু সাকিব না দলের সবাইকে নিয়েই নিজের মতটা দিলেন শান্ত, ‘শুধু সাকিব ভাই বলে বলছি না, আমি দেখি যে কে কতটুকু কষ্ট করছে এবং কামব্যাক করার জন্য যা যা দরকার, সে কাজগুলো করছে কি না, দলের প্রতি ইন্টেনশনটা কী রকম। এই জিনিসগুলো আমি খেয়াল রাখি। আমি চেষ্টা করি, ওই ক্রিকেটার দলকে দেয়ার জন্য কতটুকু প্রস্তুত, শতভাগ কি না।’ অর্থাৎ শতভাগ নিবেদন থাকলে ফর্ম হারালেও একাদশে সুযোগ পেতে সমস্যা দেখেন না শান্ত। এর ব্যাখ্যাও দিলেন তিনি, ‘অনেকে ভাবতে পারে, সাকিব ভাই দেখে আমি বলছি। তবে এ রকম না। নাহিদ রানা থেকে শুরু করে মুশফিক ভাই, সবার জন্যই আমি একই জিনিস দেখার চেষ্টা করি। এই জিনিসগুলো দেখে আমি খুশি। দলে যে ১৫-১৬ জন ক্রিকেটার আছে, তাদের নিয়ে আমি খুশি।’

সাকিবের আঙুলের চোট নিয়ে শান্ত জানালেন, ‘আঙুলের যে ব্যাপারটা এটা আসলে ব্যাট করার সময় গ্লাভসে একটা বল লাগে যেটা হয়তো আপনারা দেখেছেন। যে কারণে ট্যাপটা পেঁচানো। আমি আসলে কখনও কোনো প্লেয়ারের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না। কারণ খেলাটা একটা টিম গেম।’ প্রথম ইনিংসে প্রথম দুই সেশনে বল দেয়া হয়নি সাকিবকে। এর ব্যাখায় শান্ত বললেন, ‘প্রথম ইনিংসে ৩ পেসার দারুণ বোলিং করেছে। আমার প্রয়োজনই পড়েনি তাকে বোলিংয়ে আনার। এক পাশ থেকে মিরাজ ভালো বল করছিল। এটা একটা পরিকল্পনাই ছিল যত বেশি আমরা পেসারদের বল করাতে পারি।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত