বাফুফে নির্বাচন

সভাপতি পদে লড়াইয়ের ঘোষণা তাবিথ আওয়ালের

প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে উত্তেজনা। বিশেষ করে চারবারের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই শুরু হয় নানা জল্পনা-কল্পনা। কে হতে যাচ্ছেন দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান। সেই আলোচনার মাঝেই সপ্তাহ খানেক আগে আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ক্রীড়া সংগঠক তরফদার মো. রুহুল আমিন। এবার তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলেন সাবেক সহ-সভাপতি তাবিথ আউয়াল। গতকাল সোমবার সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

২০১২ ও ২০১৬ দুই মেয়াদে বাফুফের সহ-সভাপতি ছিলেন তাবিথ। তবে ২০২০ সালের নির্বাচনে হেরে যান। তরফদারের প্রার্থিতা ঘোষণার পরেই গুঞ্জন ছিল তাবিথকে নিয়েও। কাল সেই ধোঁয়াশা সরিয়ে দিলেন। তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘বাফুফে নির্বাচনে আমি সভাপতি নির্বাচন করতে আগ্রহী। ফুটবল সংশ্লিষ্ট সবা সহযোগিতা চাই। এটা অনানুষ্ঠানিক ঘোষণা।

আনুষ্ঠানিকতাভাবে আমি জানাব নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর।’ সভাপতি পদে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী এই প্রার্থীর কথা, ‘কাউন্সিলররা আমাকে দুইবার সহ-ভাপতি নির্বাচিত করেছিলেন। আশা করি এবার সভাপতি পদেও ভোট দেবেন এবং জিতব।’ নির্বাচনের প্যানেল নিয়ে বলেন, ‘আমি সভাপতি পদে আগ্রহ প্রকাশ করেছি। নির্বাচনে অন্য পদে কারা ইচ্ছুক, তা এখনো আমার জানা নেই। সবার সঙ্গে আলোচনা করেই প্যানেল হবে।’ সভাপতি পদে জিতলে কী করবেন, সেই পরিকল্পনার কথা পরে জানাবেন তাবিথ।

ফুটবলকে সামনে এগিয়ে নিতে পারবেন, এমন বিশ্বাস নিজের ওপর আছে জানিয়ে বলেছেন, ‘নির্বাচনে প্রার্থিতা পেশ করে আমার নির্বাচনি প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে জানাব। নির্বাচনি ইশতেহারের ব্যাপারে এখনই কিছু বলতে চাইছি না। তবে এটুকু বলতে পারি, আমি সভাপতি হলে খেলার মাঠে চমক দেখাব। ফুটবলকে পরের ধাপে নিতে পারব আশা করি।’ তাবিথের পরিচয় একজন ব্যবসায়ী। রয়েছেন বিএনপির জাতীয় কমিটিতেও। ঢাকা উত্তর সিটির নির্বাচনে মেয়র পদে লড়াই করেছেন দু’বার। ফুটবল সংগঠক। প্রিমিয়ার থেকে বিদায় নেওয়া ফেনী সকারকে এক সময় পৃষ্ঠপোষণা করেছেন, এখন করছেন পেশাদার লিগের দ্বিতীয় স্তরের ক্লাব নোফেলে স্পোর্টিংকে। বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত হলে কোনটাতেই সমস্যা হবে না বলেও জানান তাবিথ, ‘এর আগেও আমি একজন ব্যবসায়ী, রাজনীতিক ও সংগঠক ছিলাম। বাফুফেতে দুবার সহসভাপতি থাকাকালীন কোনো কাজেই সমস্যা হয়নি। সভাপতি নির্বাচিত হলেও কোনো সমস্যা হবে না আশাকরি।’

দেশের ফুটবলকে ব্র্যান্ড হিসাবে উল্লেখ করে তাবিথ বলেন, ‘সারা বিশ্বে ব্র্যান্ডিংয়ের দিক দিয়ে ফুটবল সপ্তম বৃহত্তম বিজনেস পণ্য। আমরাও ব্র্যান্ডিং করতে পারলে উপকৃত হবো।’ এদিকে তরফদার রুহুল আমিনের সভাপতি প্রার্থিতা ঘোষণা অনুষ্ঠানে আবার বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হককেও দেখা গেছে। তাহলে কি নিজ দল থেকে তাবিথ সমর্থন পাবেন না? এমন প্রশ্নে তাবিথ বলেছেন, ‘আমিনুল হককে দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা ঠিক হবে না। তিনি সাবেক ফুটবলার, সাফজয়ী দলের সদস্য। কেউ চাইলে কাউকে সমর্থন দিতেই পারেন। এটা উন্মুক্ত আছে।’

বাফুফের করপোরেট ভাবমূর্তি সম্প্রতি নষ্ট হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে বাফুফের সাধারণ সম্পাদককে শাস্তি দিয়েছে ফিফা। সেই করপোরেট ভাবমূর্তি নিয়ে তাবিথের কথা, ‘এখনো প্রচুর ছেলেমেয়ে ফুটবল খেলে। তবে বাফুফের সামর্থ্যে অনেক ঘাটতি আছে। জাতীয় দলের পারফরম্যান্স অত ভালো না এখন। ফলে ব্র্যান্ডিং ভালো নয়। ব্র্যান্ডিং নিয়ে কাজ করার আছে।’