ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বাংলাদেশ
প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক
চেন্নাই টেস্টে ভারতের বিপক্ষে লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ। লাল সবুজের বোলার-ব্যাটাররা শুরুতে সাফল্য পেলেও সেটি ধরে রাখতে পারেনি। ফলে বড় ব্যবধানে হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তরা। আজ কানপুরের গ্রিন পার্কে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে নামবে বাংলাদেশ ও ভারত। চেন্নাইতে ২৮০ রানে জিতে সিরিজে এগিয়ে যাওয়া ভারত কানপুরে জিতে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করতে চাইবে। চেন্নাইতে খেলা হয়েছিল লাল মাটির উইকেটে। যেখানে বাউন্স বেশি, উইকেটে রসদ ছিল পেসারদের।
এখন পর্যন্ত যা খবর তাতে কানপুর টেস্টের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে কালোমাটির উইকেট। যেটাতে থাকছে নিচু বাউন্স আর স্পিনারদের সহায়তা। অনেকেই বলছেন, তৃতীয় দিন থেকে সেখানে রাজত্ব চলবে স্পিনারদের। কারো কারো মতে, গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের সঙ্গে বাংলাদেশের উইকেটের মিল আছে। সাকিব আল হাসানের ভাবনাটা অন্য রকম। টেস্ট ক্রিকেটের পরাশক্তি দলগুলোর বিপক্ষে খেলার সময় উইকেট নিয়ে ভেবে খুব বেশি লাভ নেই বলে মনে করেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার। বড় প্রতিপক্ষের সঙ্গে টেস্টে ভালো খেলার কোনো বিকল্প নেই বলেও উল্লেখ করেন সাকিব। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে সাকিব গ্রিন পার্কের উইকেট নিয়ে প্রশ্নে বলেছেন, ‘ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে যখন খেলবেন; তখন উইকেট খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। তাদের অবশ্যই তেমন অস্ত্র থাকবে, যা দিয়ে তারা আমাদের আক্রমণ করবে। তাদের কোয়ালিটি পেসার, কোয়ালিটি স্পিনার, কোয়ালিটি ব্যাটসম্যান থাকবে। আমার মনে হয় না পিচের কোনো প্রভাব থাকবে। চেন্নাইয়ে যা করেছি, তার চেয়ে ভালো পারফর্ম করতে হবে এটাই একমাত্র বিষয়।’
চেন্নাইয়ে ভারত প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রান তোলার পর বাংলাদেশ অলআউট হয় মাত্র ১৪৯ রান। পরে ভারত ৫১৫ রানের জয়ের লক্ষ্য দিলে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে করতে পারে ২৩৪ রান। কানপুর টেস্টের আগে ব্যাটিংয়ে উন্নতির তাগিদ দিলেন সাকিব, ‘ব্যাটিংয়ের কথা যদি বলি, তাহলে প্রথম ইনিংসের চেয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে উন্নতি হয়েছে। প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানের আশপাশে অলআউট হয়েছি, দ্বিতীয় ইনিংসে প্রায় ২৫০ রানের মতো করেছি। আমরা যদি (কানপুরে) প্রথম ইনিংসে ৩৫০ রানের মতো করতে পারি, সেটা অনেক বড় অর্জন হবে। প্রথম ইনিংসে ৩৫০ থেকে ৪০০ রান অনেক আত্মবিশ্বাস দেবে। ড্রেসিংরুমে স্বস্তি আসবে।’