কাবাডিতে নতুন মেরুকরণ!

প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

দীর্ঘদিন চাকচিক্যময় ছিল জাতীয় খেলা কাবাডিতে। দেশি-বিদেশি খেলা গড়িয়েছে ঢাকার ম্যাটে। কিন্তু আন্তর্জাতিক অঙ্গণে সাফল্যের সংখ্যা ছিল শূন্য। পুলিশ বাহিনী জাতীয় খেলা কাবাডিকে লাল-নীল আলোয় মুড়িয়েছিল ঠিকই, কিন্তু বিদেশের মাটি থেকে পদক আনতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি এশিয়ান গেমসে হারানো পদক আর ফেরেনি। তাই এবার হারানো পদক পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট হয়েছেন রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পাওয়া সাবেক তারকা খেলোয়াড়রা। জাতীয় খেলা কাবাডির গৌরব ফেরাতে কুরসিতে বসেই চেষ্টা করতে একাট্টা হয়েছেন তারা। ১৯৯০ বেইজিং এশিয়ান গেমসে প্রথমবার অংশ নিয়ে রুপা জিতেছিল বাংলাদেশের পুরুষ কাবাডি দল। রুপা কিংবা ব্রোঞ্জ- পরের আসরগুলোতে নিয়মিতভাবে পদক ছিনিয়ে এনেছেন আবদুল জলিল, আসগর আলী, বাদশা মিয়া, জিয়াউর রহমানরা। কিন্তু ২০১০ গুয়াংজু এশিয়াডে সেই পদক হারিয়ে ফেলেন তাদের উত্তরসূরীরা। তবে ওই আসরে প্রথমবার অংশ নিয়ে ব্রোঞ্জ জেতে শাহনাজ পারভীন মালেকার নেতৃত্বাধীন মেয়ে কাবাডি দল। ২০১৪ ইনচনে ধারবাহিকতা থাকলেও চার বছর পর জাকার্তা এশিয়াডে সেই পদক হারিয়ে ফেলেন মেয়েরা। পরবর্তী সময়ে আর পদক পুনরুদ্ধার করতে পারেনি পুরুষ কিংবা নারী কাবাডি দল। সাবেক ডিআইজি ও পরে ডিএমপি কমিশনার হওয়া হাবিবুর রহমানের কমিটি বার বার ঘোষণা দিলেও শত চেষ্টা করে সেই পদক আর ফেরাতে পারেননি। যদিও কোটি কোটি টাকা খরচা করে দেশে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক আসর বসিয়েছিল। তাতে কোনো কাজ হয়নি। এ নিয়ে কম কষ্টে ভুগছেন না সাবেক খেলোয়াড়রা। গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তনের ফলে পট পরিবর্তন হয়েছে ক্রীড়াঙ্গনেও। তাই এবার সাবেক খেলোয়াড়রাই আন্তর্জাতিক আসরে পদক ফেরানোর দায়িত্ব নিতে চান। জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে হিরোশিমা এশিয়াডে রুপা জেতা দলের অন্যতম সদস্য আসগর আলীকে সামনে রেখে কাবাডির উন্নয়নে চেষ্টা করতে চান খেলোয়াড়রা। এরই মধ্যে আসগর আলীকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি কমিটিও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে জমা দেয়া হয়েছে। ২০০২ বুসান এশিয়াডে রুপা জয়ী দলের অধিনায়ক ও রাষ্ট্রীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাওয়া খেলোয়াড় বাদশা মিয়ার কথা, ‘জাতীয় এই খেলাটির হৃত গৌরব ফেরাতে একজোট হয়েছি আমরা। সাবেক তারকা খেলোয়াড় আসগর আলী ভাইয়ের নেতৃত্বে যদিও আমরা দায়িত্ব পাই, তাহলে হারানো পদক পুনরুদ্ধাওে সবাই মিলে চেষ্টা করবো।’