এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ-২০২৫ বাছাইয়ে গ্রুপপর্বে প্রথম ম্যাচে সিরিয়ার কাছে ৪-০ গোলে হারে বাংলাদেশ। যার প্রভাবটা পড়েছে দলের খেলায়। দ্বিতীয় ম্যাচে ওশেনিয়া অঞ্চলের গুয়ামের বিপক্ষে দুইবার এগিয়ে গিয়েও জয় পায়নি মিরাজুল, মইনরা। এরপর তৃতীয় ম্যাচে স্বাগতিক ভিয়েতনামের কাছে ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। তবে শেষ ম্যাচে সান্ত্বনার জয় পেয়েছে মারুফুল হকের শিষ্যরা। বদলি হিসেবে নেমে বাংলাদেশকে তিন পয়েন্ট এনে দিয়েছেন মইনুল ইসলাম। গতকাল রোববার ভিয়েতনামের ল্যাচ ট্রে স্টেডিয়ামে এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের চতুর্থ ও শেষ ম্যাচে ভুটানকে ২-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। খেলোয়াড় ছাড়া ইস্যু নিয়ে বসুন্ধরা কিংসের ছয় খেলোয়াড় ছাড়াই আসরে খেলতে নামে বাংলাদেশ। তবে তাদের অভাব ফুটে ওঠে প্রতি ম্যাচেই। তবে এদিন ভাগ্য সঙ্গ দেয় শুরু থেকেই। চতুর্থ মিনিটে মিডফিল্ডার আসাদুল মোল্লার গোলে এগিয়ে যায় তারা। ডান প্রান্ত থেকে ক্রস করেছিলেন তিনি। তবে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়ালে উল্লাসে মাতে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধের শেষ দিকেই সমতায় ফিরতে পারতো ভুটান। ক্রসবারে লেগে ফিরে এলে বেঁচে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায় ভুটান ৭০তম মিনিটে বল জ্বালিয়ে পাঠিয়েছিল তারা। কিন্তু অফসাইডের কারণে গোল মিলেনি। তবে পরের মিনিটেই আত্মঘাতী গোল হজম করে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের লং পাস ডি-বক্সের ওপর পড়লে হেড করে বলটি ক্লিয়ার করতে গিয়েছিলেন আসাদুল সাকিব। কিন্তু গোলকিপার ইসহাক আকন্দ এগিয়ে এলে বল তার মাথার ওপর দিয়ে জালে প্রবেশ করে। ইসহাক দৌড়ে গিয়ে বল ফেরালেও আগেই গোললাইন অতিক্রম করলে সমতায় ফেরে ভুটান। ৮৬তম মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন মইনুল। আসাদুল মোল্লার কাছ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে বল জালে পাঠান তিনি। এরপর দুই দল বেশ কিছু চেষ্টা চালালেও গোল মিলেনি। ফলে কাঙ্ক্ষিত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।