১৯৮২ সালের এশিয়ান গেমসে দ্বিতীয় পছন্দের গোলকিপার হিসেবে জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্যগুণে একাদশে সুযোগ পেয়ে যান তিনি। আর সুযোগটা দারুণ ভাবে কাজে লাগিয়েছিলেন মহসিন। চীনের বিপক্ষে পেনাল্টি ঠেকিয়ে পাদপ্রদীপের আলোয় আসেন। এরপরের গল্পটা শুধুই ইতিহাস। টানা ১১ বছর জাতীয় দলের গোলপোস্ট সামলানোর ভারটা ছিল মহসিনের কাঁধেই। অধিনায়কত্বও করেছেন। ক্লাব পর্যায়ে আবাহনী, মোহামেডান, মু্ক্িতযোদ্ধার মতো ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের নেতৃত্বও দিয়েছেন মহসিন। সেই মহসিনই সাম্প্রতিক সময়ে বারেবারে অসুস্থতার কারণে খবরে এসেছিলেন, এবার খবরে এলেন নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তির শিরোনাম হয়ে। আশি-নব্বই দশকের এ তারকা খেলোয়াড় প্রায় দেড় বছর ধরে শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ। মাসখানেক আগে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন মহসিন। এরপর থেকেই তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নিখোঁজ বড় ভাইকে খুঁজে পেতে ঢাকার রমনা ও কমলাপুর থানায় দুটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন মহসিনের ছোট ভাই পিন্টু। ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানার পর ১৯৯৭ সালে আমেরিকায় পাড়ি জমান মহসিন। সেখানে কিছুদিন থেকে চলে যান কানাডায়। দীর্ঘ প্রবাস জীবন কাটিয়ে এক দশক আগে খালি হাতে দেশে ফেরেন। কানাডায় থাকা অবস্থায় প্রবাসী এক বাংলাদেশিকে বিয়ে করেছিলেন, কিন্তু সে বিয়ে টেকেনি। দেশে ফেরার পর থেকে বিষণ্ণতায় ভুগছিলেন মহসিন। ধীরে ধীরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। মহসিন যে এবারই প্রথম বাড়ি ছেড়েছেন, এমন নয়। এর আগে কয়েকবার বাড়ি থেকে কাউকে না বলে গেলেও দুয়েকদিনের মধ্যেই ফেরত এসেছিলেন। কিন্তু গত ২৯ আগস্ট লাপাত্তা হওয়ার পর থেকে হদিস মিলছে না মহসিনের। জাতীয় দলে দীর্ঘদিন মহসিনের সতীর্থ ছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। গত জুনে মহসিনের দুরবস্থার কথা জেনে সহযোগিতার হাত বাড়ান তিনি। সে সময় মহসিনকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন বাফুফে সভাপতি।