কানপুর টেস্টে আড়াই দিনের বেশি বৃষ্টির কারণে খেলা হয়নি। বাকি সময়টাতে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেও চরম ব্যর্থতা দেখিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে হেরেছে বাংলাদেশ। ৭ উইকেটে জিতেছে ভারত। ফলে ২ টেস্টের সিরিজে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করল ভারত। বৃষ্টিতে আড়াই দিন খেলা বন্ধ থাকার পর কানপুরে নাটকীয়তার শুরু। মুমিনুল হকের সেঞ্চুরি সত্ত্বেও প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ২৩৩ রানে থামে। এরপর টি-২০ মেজাজে খেলে ৩৪.৪ ওভারে ৯ উইকেটে ২৮৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। যে উইকেটে ভারত এমন ঝড়ো ব্যাটিং করেছে সেখানে বাংলাদেশের ব্যাটাররা রীতিমতো লড়াই করেছে। ৫২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে চতুর্থ দিন শেষে ২ উইকেটে ২৬ রান করে বাংলাদেশ। গতকাল মঙ্গলবার ম্যাচের পঞ্চম ও শেষ দিন প্রথম ১ ঘণ্টা দারুণ কেটেছে বাংলাদেশের। মুমিনুল হক আউট হলেও সাদমান ইসলাম ও নাজমুল হোসেন শান্ত স্বচ্ছন্দ্যে ব্যাট চালিয়েছেন। ১৫ ওভারে ৫৪ রান যোগ করে তারা। এরপরেই ধস নামে। একের পর এক আত্মহুতি দিতে থকেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। সাদমান খুব ভালো খেলছিলেন। কিন্তু তিনি হাফ সেঞ্চুরি করেই সাজঘরে ফেরেন আকাশ দীপের পেসে। তিনি ১০১ বলে ১০ চারে ৫০ করেন। বাংলাদেশের আর কেউ দাঁড়াতেই পারেননি উইকেটে। শুধু মুশফিকুর রহিম ৬৩ বলে ৩৭ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ১৪৬ রানেই দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের। ৩টি করে উইকেট নেন জাসপ্রিত বুমরাহ, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা। মাত্র ৯৫ রানের জয়ের লক্ষ্যে নেমে এদিনও দ্রুত ব্যাট চালিয়েছে ভারত। যদিও শুরুতেই বোলিংয়ে আসা মেহেদি হাসান মিরাজ দ্রুতই ফিরিয়ে দেন রোহিত শর্মা (৮) ও শুভমান গিলকে। যশস্বী জয়সওয়াল আগের মতোই টি-২০ মেজাজে ব্যাট চালিয়ে ৪৫ বলে ৮ চার, ১ ছয়ে ৫১ রান করে তাইজুল ইসলামের শিকার হন। তখন মাত্র ৩ রান দূরে ভারত। শেষ পর্যন্ত চা বিরতির প্রায় আধা ঘণ্টা আগেই ৩ উইকেট হারিয়ে ৯৮ রান তুলে জয় ছিনিয়ে নেয় ভারত।
কোহলি ৩৭ বলে ৪ চারে ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন। মূলত এই টেস্ট সবমিলিয়ে খেলা হয়েছে ২ দিন। তাতেই দুইবার অলআউট হয়ে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। অথচ বৃষ্টিতে ভেসে গেছে আড়াই দিনেরও বেশি এবং ৭টি পুরো সেশন। ভারত জিতেছে মূলত তাদের জয়ের আকাঙ্ক্ষায় টেস্ট ক্রিকেটেও টি-২০ মেজাজের ব্যাটিংয়ে।