ঢাকা ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কানপুরে অবিশ্বাস্য হার

গাভাস্কারের কাঠগড়ায় বাংলাদেশের ব্যাটাররা

গাভাস্কারের কাঠগড়ায় বাংলাদেশের ব্যাটাররা

সদ্য সমাপ্ত কানপুর টেস্টের আড়াই দিন খেয়ে ফেলেছিল বৃষ্টি। অবশিষ্ট সময়ের খেলায় ফলাফল কি হতে পারে এমন প্রশ্নে বেশিরভাগের মত ছিল ড্রয়ে। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে বৃষ্টিবিঘ্নিত এই টেস্টে ভারতের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। অথচ শেষ দিনে দুটি সেশন ব্যাট করতে পারলেই ম্যাচ বাঁচাতে পারত লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। কিন্তু কানপুরের পঞ্চম দিনে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে প্রথম সেশনেই ধসে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ভারত পরে ম্যাচ জিতে সহজে।

বাংলাদেশের ব্যাটিংই মূলত ডুবিয়েছে। বিষয়টি একদমই ভাললাগেনি ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমানে ধারাভাষ্যর দায়িত্ব পালন করা সুনীল গাভাস্কারের। নাজমুল হোসেন শান্তদের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচের কড়া সমালোচনা করেছেন এই কিংবদন্তি।

বৃষ্টিতে টেস্টের আট সেশন পুরোপুরি পরিত্যক্ত হয়। এরপর যতটুকু খেলা হয়েছে তাতে একক অধিপত্য বজায় রেখে ম্যাচ জিতে নিয়েছে ভারত। তা-ও এক সেশনে আগে খেলা ফিনিশড। টেস্ট ক্রিকেটে দ্রুততম দলীয় ৫০, ১০০, ২০০-এর রেকর্ড গড়েছে ভারত। ব্যাটিংয়ের সঙ্গে বোলাররাও ছিলেন দারুণ। দ্রুততম সময়ে বাংলাদেশকে দুইবার অলআউট করেন বুমরাহ, সিরাজ, অশ্বিন, মিরাজরা।

ভারতীয়দের আগ্রাসী, ফলদায়ক ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশের নাজুক ব্যাটিংও ফলাফলে প্রভাব রেখেছে। শেষ দিনে সকালে শুরুতে কিছুটা প্রতিরোধ দেখা গেলেও উইকেট বিলিয়ে দেয়া চলতে থাকে সফরকারীদের। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মুমিনুল হক রবীচন্দ্রন অশ্বিনের লেগ স্টাম্পের বাইরের দিকে যাওয়া বল সুইপ করে দেন লেগ স্লিপে ক্যাচ। রবীন্দ্র জাদেজার বলে আচমকা রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে বোল্ড হন অধিনায়ক শান্ত। থিতু থাকা সাদমান ইসলামকে দেখা যায় অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ক্যাচ দিয়ে থামতে।

ভারতের একটি গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের ব্যাটারদের কাঠগড়ায় তুলেছেন গাভাস্কার, ‘আমি মনে করি, তারা হয়তো ভুলে গেছে এটা টেস্ট ম্যাচ। তাদের হাতে প্রচুর সময় ছিল। যদিও টেস্টের শেষ দিন তবুও অজস্র ভুল করেছে তারা।

কিছু কিছু শট আমরা দেখেছি, যেমন শান্তর শটটা- সে কী করতে চেয়েছিল? হ্যাঁ এ ধরনের শট যখন ব্যাটে-বলে হবে তখন ঠিকঠাক। কিন্তু আউট হলেও প্রশ্ন উঠে, সে কী করতে চেয়েছে।’ রবীন্দ্র জাদেজার বল রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন শান্ত। ফিফটি ছোঁয়ার পর সাদমান গালিতে ক্যাচ দেন। সাকিব বল চেক করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দেন জাদেজাকে।

ভারতের মাটিতে প্রথম বাংলাদেশি ওপেনার হিসেবে ফিফটি পেয়েছিলেন সাদমান। দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ ব্যাটিং দৃঢ়তায় তুলে নেন ফিফটি।

কিন্তু মাইলফলক ছোঁয়ার পরপরই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন এই ওপেনার। থিতু হওয়ার তার আরো দায়িত্ব নেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করছেন গাভাস্কার, ‘সাদমান ফিফটি ছোঁয়ার পর আলসেমি শটে নিজের উইকেট বিলিয়ে আসেন।

ওসব ভুল না করলে সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার সুযোগ ছিল’।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত