ঢাকা ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘ছাঁটাইয়ের’ আগে নেতৃত্ব ছাড়লেন বাবর

‘ছাঁটাইয়ের’ আগে নেতৃত্ব ছাড়লেন বাবর

গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর সব সংস্করণে পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন বাবর আজম। পরে সাদা বলে আবার তাকে অধিনায়ক করা হয়েছিল। তবে ব্যাটে রান খরা, দলের পারফরম্যান্সের পড়তি অবস্থার প্রেক্ষিতে অধিনায়কত্ব থেকে আবারও সরে গেলেন তারকা ব্যাটার। নিজের স্বীকৃত এক্স পোস্টে বাবর জানান, নিজের ব্যাটিংয়ে মনোযোগ বাড়াতে ও পারিবারিক কারণে অধিনায়কত্ব করতে চান না তিনি, ‘পাকিস্তান পুরুষ দলের অধিনায়কত্ব থেকে আমি সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দলকে নেতৃত্ব দেওয়া সম্মানের। কিন্তু এখন সময় হচ্ছে সরি গিয়ে নিজের খেলায় মন দেয়া।’ আগামী সপ্তাহে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ শুরু হচ্ছে পাকিস্তানের। শান মাসুদের নেতৃত্বে ১৫ জনের দলে আছেন বাবর। আগামী মাসে বাবরের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ায় সাদা বলের সফর ছিলো পাকিস্তানের। তবে বাবর পদত্যাগ করায় নতুন অধিনায়ক খুঁজতে হবে পাকিস্তানকে। অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাওয়ার কারণও স্পষ্ট করে লিখেছেন তিনি, ‘অধিনায়কত্ব একটা দারুণ সম্মানের অভিজ্ঞতা। তবে অনেক বেশি কাজের চাপও। আমি নিজের পারফরম্যান্সে প্রাধান্য দিতে চাই। আমি নিজের ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতে চাই। পরিবারকে মানসম্মত সময় দিতে চাই। যেটা আমাকে আনন্দ দেবে।’

গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর অধিনায়কত্ব থেকে সরে যান বাবর। তখন শান মাসুদকে টেস্ট ও শাহীন আফ্রিদিকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক করে পিসিবি। ওয়ানডে ছিল ফাঁকা। শাহীনকে এক সিরিজ অধিনায়কত্ব দিয়েই আবার তা কেড়ে নেয়া হয়। দায়িত্ব ফের দেয়া হয় বাবরকে, ওয়ানডেতেও তাকেই রাখা হয়। বাবরের নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বাজে খেলে পাকিস্তান, উঠতে পারেনি সুপার এইটে।

এদিকে পাকিস্তানের গণমাধ্যম দ্য ডন- এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কিছুদিনের মধ্যেই পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক শান মাসুদ এবং সীমিত পরিসরের অধিনায়ক বাবর আজমকে বরখাস্ত করতো পিসিবি। তার আগেই বাবর নিজেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন। পাকিস্তানের তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। সব মিলিয়ে পাকিস্তানকে ২০ টেস্ট, ৪৩ ওয়ানডে ও ৮৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাবর আজম। যিনি প্রথমবার দায়িত্ব পেয়েছিলেন ২০১৯ সালে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত