উশুতে লুটপাটকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি

প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

‘ফেডারেশনে তালা ভেঙে নগদ অর্থ, গুরুত্বপূর্ণ ইলেক্ট্রানিক্স সামগ্রী, প্রশিক্ষণ সরঞ্জামাদী ও ফেডারেশনের বিল ভাউচারসহ অন্য জিনিসপত্র লুটপাটকারী দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে উশু ফেডারেশনের বিরুদ্ধে অপ-প্রচারের প্রতিবাদ জানাচ্ছি’, বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উশু ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. দুলাল হোসেন। এ সময় উশু-কুংফু প্রতিষ্ঠাকালীন বেশ কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। আগের দিন এই সংবাদ সম্মেলনের খবর পেয়ে উশুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক দিলদার হাসান দিলু ডিআরইউ চত্বরে মানববন্ধনের ডাক দেন। সকাল থেকেই সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনের জন দুপক্ষের উশুকারা উপস্থিত হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার আশংকা হয়। পরে ডিআরইউ থেকে মানববন্ধনের সুযোগ নেই বলে জানালে তা স্থগিত করেন দিলু। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহলরত গাড়িও দেখা গেছে ডিআরইউতে।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে দুলাল হোসেন জানান, গত ৫ আগষ্ট বৈষম্যমূলক ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পরদিন উশু ফেডারেশনের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এক একদল লুটপাটকারী। যা সিসিটিভি ভিডিও ফুটেছে স্পষ্ট দেখা গেছে। দুলাল হোসেন বলেন, ‘২০১০ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে নারী কেলেঙ্কারির দায়ে বহিষ্কৃত দিলদার হাসান দিলু এবং চায়না চেম্বারের সাবেক পিয়ন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও আনসার বাহিনী থেকে বহিষ্কৃত মেজবাহ উদ্দীনের নেতৃত্বে ১০-১২ জন সন্ত্রাসীরা দিনে দুপুরে বাংলাদেশ উশু ফেডারেশনের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এই লুটপাট চালায়। ফেডারেশনের পক্ষ হতে চুরি হওয়া নগদ অর্থ, মালামাল উদ্ধার ও দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার পূর্বক শাস্তি দাবি করে আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি।’ দিলুর সঙ্গীদের সম্পর্কে দুলালের কথা, ‘২০১০ সালে স্বজনপ্রীতির এক কমিটি গঠন করেছিল দিলু। সহসভাপতি শহিদুল হক ভূঁইয়ার আত্মীয় ছিলেন ওই কমিটিতে আরও তিনজন। স্বজনপ্রীতি ও নারী কেলেঙ্কারির জন্যই ওই কমিটি বাতিল করেছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।’ উশুর সাধারন সম্পাদক তার বিরুদ্ধে আনীত দূর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, ‘আমি নিজেই দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) গিয়ে আবেদন করেছি, যেন আমার সম্পর্কে তদন্ত করা হয়। তাছাড়া যদি আমার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ প্রমাণাদি কেউ দেখাতে পারে, তাহলে আমি পদত্যাগ করব।’