গোয়ালিয়রে প্রথম টি-টোয়েন্টি কাল

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের নিরাপত্তায় যে সব নিষিদ্ধ

প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

কানপুর টেস্ট প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছিল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা নামে ভারতের একটি ধর্মীয় সংগঠন। তবে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তায় সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে ভারত-বাংলাদেশের টেস্ট ম্যাচ। টেস্ট সিরিজ শেষে এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হবে প্রতিবেশী দুই দেশ। এবার গোয়ালিয়রে প্রথম টি-টোয়েন্টির দিন হরতালের ডাক দিয়েছে ভারতের উগ্র সংগঠনটি।

৬ অক্টোবর শহরটিতে মাঠে গড়াবে প্রথম ম্যাচ। হিন্দু মহাসভার সহ-সভাপতি ড. জয়বীর ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, যেকোনো মূল্যে তারা গোয়ালিয়রে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হতে দেবে না। তাদের হুমকির কারণে কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে গোয়ালিয়র। ভেন্যুতে বাংলাদেশ ও ভারতীয় দলের খেলোয়াড়দের যাতায়াতের পথে জারি করা হয়েছে কারফিউ। সুষ্ঠুভাবে খেলা আয়োজনের জন্য একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সিরিজের প্রথম টি-টোয়ন্টি ঘিরে বিক্ষোভ মিছিল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক প্রচারণা নিষিদ্ধ করেছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তোলে হিন্দু মহাসভা। এর জেরে ভারতীয় সংগঠনটি বাংলাদেশ-ভারতের গোয়ালিয়র ম্যাচ বাতিলের দাবি তোলে। এরপর ডাক দেয় ‘গোয়ালিয়র বন্ধ’-এর। এর পরিপ্রেক্ষিতে কঠোর অবস্থানে যায় গোয়ালিয়র জেলা প্রশাসন। ভারতীর বার্তা সংস্থা পিটিআই-এর খবর, মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমপিসিএ) ও স্থানীয় প্রশাসন নিরাপত্তায় বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে। দুই দলের জন্য কঠোর নিরাপত্তার পাশাপাশি খেলোয়াড়দের হোটেল থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত গোয়ালিয়র জেলায় বিক্ষোভ ও উসকানিমূলক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর রুচিকা চৌহান। একই সঙ্গে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিত (বিএনএসএস) আইনের ১৬৩ ধারা অনুযায়ী, এ সময়ে কোনো প্রকার বিক্ষোভণ্ডমিছিল করা যাবে না।

শুধু তাই নয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারেও দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। হিংসাত্মক বার্তা ছড়ায়- এমন কোনো ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা যাবে না।

কেউ এই নিষেধাজ্ঞা না মানলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। মাঠে আসা দর্শকদের জন্যও থাকছে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা। ম্যাচে দর্শকরা ব্যানার, পোস্টার, পতাকা, কাটআউটে আপত্তিজনক কোনো কিছু লিখে আনতে পারবেন না।

গোয়ালিয়রের মাধবরাও সিন্ধিয়া স্টেডিয়ামে ১৪ বছর পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ হতে চলেছে। এই ম্যাচের নিরাপত্তার ও ট্রাফিক সামলানোর দায়িত্বে থাকবেন ১৬০০ পুলিশকর্মী। এর আগে স্টেডিয়ামের আশপাশের এলাকা থেকে কমপক্ষে ১৯ বিক্ষোভকারীকে আটকের খবর জানিয়েছিল স্থানীয় পুলিশ। সব মিলিয়ে কড়া নিরাপত্তায় ম্যাচটি আয়োজিত হতে যাচ্ছে বলেই আভাস পাওয়া যাচ্ছে।