ঢাকা ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গোয়ালিয়রে প্রথম টি-টোয়েন্টি আজ

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের নিরাপত্তায় ২৫০০ পুলিশ

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের নিরাপত্তায় ২৫০০ পুলিশ

বাংলাদেশ-ভারতের প্রথম টি-টোয়েন্টি ঘিরে গোয়ালিয়রে নজর ক্রিকেটপ্রেমীদের। তবে মাঠের লড়াইয়ের আগে বাইরের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা বেশি। কুড়ি ওভারের এই ম্যাচে হামলার হুমকি আছে। এ জন্য নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হচ্ছে মধ্যপ্রদেশের শহরটি। বাংলাদেশ-ভারতের ম্যাচটির নিরাপত্তায় ২ হাজার ৫০০ পুলিশেরও বেশি কাজ করবেন। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির খবর, খেলোয়াড়দের দেয়া হচ্ছে তিন স্তরের নিরাপত্তা। এই নিরাপত্তায় সংশ্লিষ্ট এক কর্তা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ-ভারতের গোয়ালিয়রের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মোতায়েন করা হবে ২ হাজার ৫০০ পুলিশ। ওই কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ মাধ্যমটি ছেপেছে, ‘ম্যাচের দিন দুপুর ২টা থেকে রাস্তায় থাকবে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরা।’ আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ-ভারত। এই ম্যাচ ঘিরে আগেই হুমকি দিয়ে রেখেছে অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা। তবে ম্যাচটি নির্বিঘ্নে আয়োজনে কঠোর অবস্থানে গোয়ালিয়র জেলা প্রসাশন। সিরিজের প্রথম টি-টোয়ন্টি ঘিরে বিক্ষোভ মিছিল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উসকানিমূলক প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তোলে হিন্দু মহাসভা। এর জেরে ভারতীয় সংগঠনটি বাংলাদেশ-ভারতের গোয়ালিয়র ম্যাচ বাতিলের দাবি তোলে। এরপর ডাক দেয় ‘গোয়ালিয়র বন্ধ’-এর।

এর পরিপ্রেক্ষিতে কঠোর অবস্থানে গোয়ালিয়র জেলা প্রশাসন। ভারতীর বার্তা সংস্থা পিটিআই-এর খবর, মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমপিসিএ) ও স্থানীয় প্রশাসন নিরাপত্তায় বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে। দুই দলের জন্য কঠোর নিরাপত্তার পাশাপাশি খেলোয়াড়দের হোটেল থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত গোয়ালিয়র জেলায় বিক্ষোভ ও উসকানিমূলক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর রুচিকা চৌহান। একই সঙ্গে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিত (বিএনএসএস) আইনের ১৬৩ ধারা অনুযায়ী, এ সময়ে কোনো প্রকার বিক্ষোভণ্ডমিছিল করা যাবে না। শুধু তা-ই নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারেও দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। হিংসাত্মক বার্তা ছড়ায়- এমন কোনো ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা যাবে না। কেউ এই নিষেধাজ্ঞা না মানলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ অনুসারে, গোয়ালিয়র জেলার সীমানার মধ্যে কোনো ব্যক্তি যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে এই আন্তর্জাতিক ম্যাচে ব্যাঘাত ঘটায় বা ধর্মীয় উস্কানি দেয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই ধরনের সমস্ত ব্যানার, পোস্টার, কাটআউট, পতাকা ও অন্যান্য আপত্তিকর সামগ্রী নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়। পাঁচ বা এর বেশি লোকের জমায়েত, আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও তলোয়ার বা বর্শার মতো তীক্ষণ ও ধারাল অস্ত্র নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সমস্ত ভবনের ২০০ মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কেরোসিন, পেট্রোল ও অ্যাসিডের মতো দাহ্য পদার্থের ব্যবহারও নিষিদ্ধ থাকবে। গোয়ালিয়রের মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে দুই দলের তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। ১৪ বছর পর জেলাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তন ঘটতে যাচ্ছে। এই ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু হবে ৩০ হাজার ধারণক্ষমতা বিশিষ্ট স্টেডিয়ামটির।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত