দিল্লিতে ঘুরে দাঁড়াতে চান শান্ত

প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইটে খেলেছে টাইগাররা। তাই ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ভরাডুবি হলেও সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ভাল ফলের আশা করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু আবারো সেই হতশ্রী ব্যাটিং লাল সবুজের ব্যাটারদের। স্বাগতিকদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি মাচে রীতিমতো আত্মসমর্পণ করেছে সফরকারিরা। এমন হারের পর দুঃখ প্রকাশ করে দিল্লিতে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দঁড়ানোর কথা বলেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। গত রোববার গোয়ালিয়রে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ভারতের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯.৫ ওভারে ১২৭ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। জবাবে ৪৯ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় স্বাগতিক দলটি। এদিন ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগেই বিবর্ণ ছিল টাইগাররা। একমাত্র মেহেদী হাসান মিরাজ ৩৫ রানে অপরাজিত থেকেছেন। কিন্তু রানের গতি বাড়াতে পারেননি। বল মোকাবিলা করেছেন ৩২টি। অধিনায়ক শান্তর সেট হয়েছিলেন ২৫ বলে করেন ২৭ রান। এ ছাড়া কোনো ব্যাটারই ১২ রানের বেশি করতে পারেননি। এদিন ইনিংসের শুরু থেকেই ব্যাকফুটে ঢুকে যায় বাংলাদেশ। পাওয়ারপ্লেতে ওপেনার লিটন দাস দুই বলে চার এবং পারভেজ হোসেন ইমন নয় বলে আট করে আউট হন। ফলে ৩৯ রানের বেশি আসেনি প্রথম ছয় ওভারে। তরুণ তৌহিদ হৃদয়ও একের পর এক ডট বলের চাপে ভেঙে পড়েন, স্পিডস্টার মায়াঙ্ক যাদবের ওভারে দিয়েছেন মেডেন। পরের ওভারে বরুণ চক্রবর্তীর বলে আউট হন লং-অনে। ১৮ বলে ১২ রান করে তাওহিদ বিদায় নেয়ার ৪০ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর প্রয়োজন ছিল দেখে শুনে সতর্কতার সঙ্গে ব্যাটিং। তারজন্য আদর্শ ব্যাটার ছিলেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু অভিজ্ঞ এই ব্যাটার তার পরিবর্তে যাদবকে ডাউন দ্য উইকেটে চার্জ করেন এবং ডিপ পয়েন্টে ওয়াশিংটন সুন্দরের হাতে ক্যাচ দিয়ে দুই বলে এক রানে আউট হন। পাওয়ারপ্লেতে খারাপ শুরু এবং ব্যাটসম্যানদের অত্যধিক উত্তেজনাপূর্ণ ব্যাটিং প্রদর্শনই হারের মূল কারণ বলে জানিয়ে শান্ত বলেন, ‘আমরা ভালো শুরু করিনি। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ছয় ওভার খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু আমরা শুরুটা ভালো করিনি। পরিকল্পনা ছিল ইতিবাচক ক্রিকেট খেলা এবং প্রথম বল থেকেই ইন্টেন্ট নিয়ে খেলা কিন্তু আমাদের কিছু ওভার ম্যানেজ করতে হয়েছে। পরের ম্যাচগুলোর জন্য আমাদের আরো ভালো পরিকল্পনা দরকার।’ বাংলাদেশ ইনিংসে আইনি ১২০ ডেলিভারির মধ্যে ৫০টি ডট বল খেলেছিল। স্ট্রাইক রোটেট করতে না পারার ব্যর্থতা দলকে পিছিয়ে দিয়েছে বলে মনে করেন শান্ত, ‘আমাদের স্ট্রাইক রোটেটিংয়ে ফোকাস করতে হবে, টি-টোয়েন্টি শুধু আঘাত করা নয়। আমরা যদি উইকেট হাতে রাখি তাহলে আমরা ভালো স্কোর পেতে পারি।’ সাদামাটা লক্ষ্যে ভারতীয় ব্যাটারকে খুব কমই পরীক্ষার মধ্যে ফেলতে পেরেছে বাংলাদেশের বোলাররা। ৪৯ বল বাকি রেখেই জয়। তারপরও বোলারদের দোষ দেননি শান্ত, ‘এরকম পিচে বোলারদের জন্য এটা খুব কঠিন। আমাদের আরো রান দরকার। কিন্তু আমি মনে করি রিশাদ ভালো বোলিং করেছে এবং মোস্তাফিজুরও।’