ঢাকা ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ভারতের তুলনায় শারীরিক শক্তিতে পিছিয়ে বাংলাদেশ!

ভারতের তুলনায় শারীরিক শক্তিতে পিছিয়ে বাংলাদেশ!

ভারতের ব্যাটিং সামর্থ্যরে সঙ্গে কোনো ভাবেই কুলিয়ে উঠতে পারছে না বাংলাদেশ। সিরিজের দুই টি-টোয়েন্টিতেই সেটা ছিল স্পষ্ট। তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টির আগে যখন বাংলাদেশের ছক্কা মারার সামর্থ্যের কথা উঠলো, ফিল্ডিং কোচ নিক পোথাস সামনে আনলেন দুই দলের শারীরিক শক্তির পার্থক্যের কথা! তিন ম্যাচের সিরিজ এরই মধ্যে হেরে যাওয়া বাংলাদেশের সামনে আজ শনিবারের ম্যাচটা হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশন। ঘরের মাঠে ভারত এমনিতেই অপরাজেয়। বাংলাদেশ সিরিজ দিয়ে টানা ১৬তম সিরিজ তারা নিশ্চিত করেছে। সর্বশেষ ম্যাচের আগে বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে পোথাসকে প্রশ্নের জবাব দিতে হয়েছে। ছক্কা মারার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি দুই দলের ব্যাটারদের শারীরিক পার্থক্যের বিষয়টি তুলে এনেছেন, ‘পার্থক্যটা আসলেই কঠিন। যদি একজনের ওজন ৯৫-১০০ কেজি হয়, আরেকজনের ৬৫ কেজি। তাহলে তো যে বেশি ভারি সেই বলটা বেশি দূরে মারতে পারবে। অবশ্যই এক্ষেত্রে টাইমিং, টেকনিক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি।’ এ সময় ভারতের টি-টোয়েন্টি সাফল্যে কীভাবে আইপিএল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে সেটার ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেন তিনি। তার মতে, ‘আপনাকে আইপিএলের দিকেও খেয়াল করতে হবে। এটা বিশ্বের অন্যতম সেরা একটি প্রতিযোগিতা। যেখানে শীর্ষ মানের খেলোয়াড়রা খেলে। আইপিএল আন্তর্জাতিক পর্যায়ের জন্য খেলোয়াড়দের তৈরি করে। ভারতের ছক্কা মারার সামর্থ্যরে সঙ্গে আমাদের তুলনায় মনে হচ্ছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ আমাদের তুলনায় কয়টা ছক্কা মেরেছে। ওদের অনেক শক্তিশালী খেলোয়াড় আছে। আমরা শক্তিমত্তা, কন্ডিশনিং নিয়ে কাজ করছি। কিন্তু বংশগতি নিয়ে তো লড়াই করতে পারবেন না।’ এ সময় পোথাসের সামনে প্রশ্ন রাখা হয় তাহলে বাংলাদেশ কেন প্রথম দুই ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক স্কোরও করতে পারেনি। যেখানে ১৫০ রানের কাছে যাওয়ার আগেই তাদের ঘাম ছুটে গেছে। এমন প্রশ্নে পোথাসের যুক্তি, ‘ঘরের মাঠে আমরা অপ্রতিরোধ্য একটা দলের সঙ্গে খেলছি। এটা ঠিক দুই দলের ব্যবধানটা চোখে পড়ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে পারভেজ হোসেন ইমন যেমন মাত্র দুই ম্যাচ খেলেছে। সে আছে টপ অর্ডারে। হ্যাঁ, আমাদের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় অবশ্যই আছে। কিন্তু পার্থক্যটা সেখানেই।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত