চলমান নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয় দিয়ে শুরু করলেও পরের ম্যাচে ইংল্যন্ডের বিপক্ষে হেরে যায় বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে গতকাল বাঁচা-মরার ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল টাইগ্রেসরা। সেমিতে যেতে হলে এই ম্যাচ জয়ের বিকল্প ছিল না নিগার সুলতানা জ্যোতিদের। তবে ম্যাচটি জিততে পারেনি বাঘিনীরা। বাঁচা-মরার ম্যাচে আগে ব্যাত করতে নেমে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ২০ ওভারে আট উইকেটে হারিয়ে ১০৩ রানে। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪৩ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটে ম্যাচটি জিতে নেয়। ক্যারিবীয়দের কাছে এই হারে বিশ্বকাপের সেমির স্বপ্ন শেষ জ্যোতিদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই ম্যাচে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল টাইগ্রেসরা। দলের প্রথম চার ব্যাটার ছাড়া আর কেউই ম্যাচে বাউন্ডারি হাঁকাতে পারেনি। সর্বোচ্চ চারটি চার মেরেছেন জ্যোতি, সর্বোচ্চ ইনিংসটিও তারই, করেছেন ৩৯ রান। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ইনিংসের শেহ ৪৯ বলে কোনো বাউন্ডারি পায়নি বাঘিনীরা। এমন হারের পর সংবাদ সম্মেলনে জ্যোতি বলেন, আমাদের শুরুটা খুব ভালো ছিল। তবে মাঝের সময়টায় আমরা অনেক বেশি ডট খেলেছি এবং পরে তাদেরকে অনেক উইকেট বিলিয়ে দিয়েছি। মাঝের ওভারগুলোয় তাদের বোলাররা সত্যিই অনেক ভালো বল করেছে এবং আমাদেরকে শট খেলার জায়গা দিচ্ছিল না। সিঙ্গেল নেয়ার অনেক সুযোগও আমরা হাতছাড়া করেছি, যা চাপ তৈরি করেছে আমাদের ওপর। ব্যাটিংয়ে আরো উন্নতি করার কথা জানিয়ে জ্যোতি আরো বলেন, শিক্ষণীয় অনেক কিছুই আমরা সামনে বয়ে নিতে পারি। বিশেষ করে, এই ধরনের টুর্নামেন্টে কীভাবে ইতিবাচক থাকতে হয়। আমাদের দলটা এই ধরনের টুর্নামেন্টে খুব বেশি অভিজ্ঞ নয়। আমাদের জন্য জরুরি হলো ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমাদের আরো বেশি তাড়না দেখানোয় মনোযোগ দেয়া। আমাদের বোলাররা প্রতিটি ম্যাচেই তাদের কাজ করতে পেরেছে। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমাদের দায়িত্ব আরো শক্তিশালী হওয়ার।