ঢাকা ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ড. ইউনূসের পরামর্শে বিপিএলে ‘নতুনত্ব’

ড. ইউনূসের পরামর্শে বিপিএলে ‘নতুনত্ব’

বড় স্বপ্ন নিয়ে ২০১২ সালে যাত্রা শুরু করেছিল দেশের প্রথম ও একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। কিন্তু আর্থিক কাঠামো ও পেশাদারি মডেল না থাকায় শুরু থেকেই বিতর্ককে সঙ্গী করেছে বিপিএল। যার খেসারত প্রতিটা পদে পদে দিতে হয়েছে আয়োজকদের। জোড়াতালির বিপিএল আয়োজন করে প্রতিবারই চ্যালেঞ্জ উতরে যায়। কিন্তু বিপিএলের মান বাড়ে না। বরং প্রতিবারই জৌলুস হারায়। পরিবর্তনের যে হাওয়া বইছে বিপিএলেও তা ছড়িয়ে দিতে তৎপর বিসিবি। এ জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন বিসিবি প্রধান ফারুক আহমেদ। সঙ্গে ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। গতকাল রোববার বিসিবি প্রধান ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন এবার বিপিএলে থাকবে নতুনত্ব। নতুনত্ব কি কি জায়গায় থাকছে তা এখনো স্পষ্ট করেনি বিসিবি। তবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পরামর্শে বেশ কিছু কাজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিবি প্রধান। সেই কাজগুলো প্রেজেন্টশন আকারে দেখানো হয়েছে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে।

সেই প্রেজেন্টশন দেখা ও বিপিএল নিয়ে আলোচনা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিপিএলের হারানো সম্মান ফেরানোর আশা ব্যক্ত করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা, ১দর্শক হিসেবে আমারও প্রথম দিনে বিপিএল নিয়ে খুব আগ্রহ ছিল। কিন্তু এটা দিন-দিন পড়ে গেছে। এবার আমরা নতুন শুরু করতে চাই। বিপিএলকে টুর্নামেন্ট হিসেবে সফল করতে চাই।’ প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে কী কী পরামর্শ নিয়েছেন সে ব্যাপারে অসিফ মাহমুদ জানিয়েছেন, ‘টুর্নামেন্টের সঙ্গে সমর্থকদের আরো সম্পৃক্ত হওয়ার আইডিয়া, লিজেন্ডারি ক্রিকেটারদের টুর্নামেন্টে আনা, জিরো ওয়েস্ট কর্নার এমন কিছু আয়োজন থাকবে। সেগুলো আমরা আবারো আলোচনা করবো। তো আপনারা দেখবেন ভালো কিছু আসবে।’ বিপিএলকে সাফল্যমণ্ডিত করে তুলতে নিজে থেকেই প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলে জানালেন আসিফ মাহমুদ, ‘আমাদের প্রধান উপদেষ্টা যিনি অলিম্পিকের মতো ইভেন্ট ডিজাইনে ইনপুট দেন, তার কাছ থেকে যদি আমরা কিছু পরামর্শ বা অভিজ্ঞতা নিতে না পারি তাহলে এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যের। তাই স্যারকে অনুরোধ করার পর উনি আমাদের সময় দিয়েছেন এবং বিপিএলকে আন্তর্জাতিক ভাবে কীভাবে উপস্থাপন করা যায় সে নিয়ে উনি পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেসব নিয়েই বিসিবি কাজ করেছে। আশাকরি এবার ভালো একটা টুর্নামেন্ট দেখতে পাবেন আপনারা।’

বিপিএলকে সামনে রেখে মিরপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেট স্টেডিয়ামের সংস্কারের কাজও করা হবে। দর্শক বান্ধব গ্যালারি ও খাবার ম্যাচের দিন স্টেডিয়ামে রাখার ব্যাপারেও জোড় দেয়া হয়েছে। সব ঠিক থাকলেও সব কথার শেষ কথা মাঠের খেলা। টুর্নামেন্টের বাইরের চাকচিক্য ভালো থাকলেও মাঠের ক্রিকেট ভালো না হলে দর্শকমন ভরবে কি!

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত