বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বিতরণের সময় শেষ হয়েছে গত শনিবার। সভাপতি পদে প্রার্থীদের মধ্যে হেভিওয়েট একমাত্র তাবিথ আউয়ালই। এ পদে চারটি মনোনয়ন পত্র বিক্রি হলেও তাবিথ ছাড়া বাকি তিনজন শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন কী না তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। তিন জনের মধ্যে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বীতা করলেও এগিয়ে থাকবেন তাবিথই। তাই সভাপতি পদে এবার তেমন আকর্ষণ নেই। তবে সিনিয়র সহসভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুই হেভিওয়েট প্রার্থী। এই পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন বাফুফের বর্তমান সহসভাপতি ও বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান। একই সঙ্গে সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষনা দেয়া সাইফ স্পোর্টিংয়ের স্বত্বাধিকারী তরফদার রুহুল আমিন সবাইকে অবাক করে দিয়ে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদেই মনোনয়ন তুলেছেন। আর এতেই সৃষ্টি হয়েছে ইমরুল-তরফদার দ্বৈরথ। বাফুফের শীর্ষ পদে সহজেই উৎরে যাবেন তাবিথ, এমন ধারণা অনেকেরই। এরই মধ্যে প্রচারণাও শুরু করলেন সাবেক এই ফুটবলার। গতকাল রোববার ছিল তাবিথ আউয়ালের প্রচারণার প্রথম দিন। নিজে যেহেতু ফুটবলার ছিলেন, তাই আবেগের জায়গা সেই ফুটবল থেকেই শুরু করলেন প্রচারণা।
প্রচারণার প্রথম দিনে রাজধানী বাড্ডার বেরাইদে ফর্টিস ফুটবল ক্লাবের মাঠে ফুটবল খেলার আয়োজন করেন তাবিথ আউয়াল। বিকেলে সেখানে সাবেক ছেলে ও মেয়ে ফুটবলারদের নিয়ে প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করা হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় ফুটবলারদের পাশে থাকা ও দেশের ফুটবলকে উন্নতির কথা ব্যক্ত করেন তাবিথ আউয়াল। লাল ও সবুজ দলে বিভক্ত করে ম্যাচ খেলা হয়। তাবিথ আউয়াল নিজেও খেলেন। তিনি খেলেছেন লাল দলের জার্সি গায়ে। মেয়েদেরও দুটি করে ম্যাচ হয়। ফর্টিসের মাঠে ছেলে ও মেয়ে মিলিয়ে প্রায় ১০০ ফুটবলার উপস্থিত ছিলেন। তাদের বেশির ভাগই ৮০-র দশকের ফুটবলার। কয়েকজন রয়েছেন ৯০-র দশকের। এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদের মনোনয়ন তুলেছেন মোট ৪ জন। তারা হলেন- এ এফ এম মিজানুর রহমান চৌধুরী, তাবিথ আউয়াল, শাহাদাত হোসেন ও আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদওয়ান।