সাকিবের পরিবর্তে হাসান মুরাদ

প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

ঘরের মাঠে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলে ভক্তদের সামনে বিদায় নেয়ার ইচ্ছে ছিল সাকিব আল হাসানের। কিন্তু পরিবর্তিত বাস্তবতায় সেটা আর সম্ভব হচ্ছে না বিশ্বখ্যাত এই বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের দল থেকে বাদ দেয়া হয়েছে তাকে। তার পরিবর্তে নেয়া হয়েছে বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদকে। ফলে যেটি হওয়ার কথা সাকিবের বিদায়ের মঞ্চ, সেটি হয়ে উঠল মুরাদের ফেরার উপলক্ষ। সাকিব না থাকা মানে ব্যাটিং-বোলিং দুটিতেই শূন্যতা। সেই ঘাটতি পূরণের মতো উপযুক্ত কেউ এখনো কেউ।

আপাতত তার বোলিংয়ের অভাব পূরণের দিকেই বেশি গুরুত্ব দলের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের দলে তাই যুক্ত করা হলো বাঁহাতি স্পিনার মুরাদকে। বাংলাদেশের হয়ে দুটি টি-টোয়েন্টি খেললেও এখনো টেস্ট খেলার সুযোগ পাননি মুরাদ। গত বছর নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের স্কোয়াডে অবশ্য ছিলেন ২৩ বছর বয়সী এই স্পিনার। গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মুরাদের দলভুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত দুটি টি-টোয়েন্টি খেললেও টেস্ট খেলার সুযোগ পাননি মুরাদ। গত বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজের স্কোয়াডে ছিলেন ২৩ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনার। দেশের মাটিতে বিদায়ী টেস্ট ম্যাচ খেলতে রওনা দিয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু দুবাইয়ে আসার পর সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হয় তাকে। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে ৩৭ বছর তারকাকে দেশে ফিরতে মানা করা হয়। মূলত ‘অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে’ তাকে এই পরামর্শ দেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই সাকিবের মতো কার্যকর আর কেউ নেই বাংলাদেশের।

স্কোয়াডে তার শূন্যতা পূরণের ক্ষেত্রে তাই জোর দেয়া হয়েছে বোলিং বিভাগের দিকে। সেই বিবেচনায় ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করা মুরাদের কপাল খুলেছে।

এখন পর্যন্ত ৩০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন মুরাদ। ২১.০৪ গড়ে ১৩৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করেছেন ১২ বার। তবে ম্যাচে ১০ উইকেট এখনো পাওয়া হয়নি তার। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ২০২০ যুব বিশ্বকাপজয়ী বাংলাদেশ দলের সদস্য মুরাদের সেরা বোলিং ফিগার ১১৯ রানে ৮ উইকেট। দলে জায়গা পেলেও মুরাদের বাংলাদেশ একাদশে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কারণ, সাকিব না থাকলেও আরো তিনজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার স্কোয়াডে আছেন আগে থেকেই। তারা হলেন তাইজুল ইসলম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাঈম হাসান। আগামী ২১ অক্টোবর দুই দলের প্রথম টেস্ট শুরু হবে ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে। এরপর ২৯ অক্টোবর চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গড়াবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। প্রায় তিন সপ্তাহের সফর শেষে প্রোটিয়ারা দেশে ফিরে যাবে ৩ অক্টোবর।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের বাংলাদেশ দল : নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস, জাকের আলী, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা ও হাসান মুরাদ।