পাকিস্তানকে হারাতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ সাবিনারা
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক
২০২২ সালে এই দশরথ স্টেডিয়াম থেকেই সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন সাবিনা খাতুনরা। দুই বছর পর শিরোপা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের মেয়েদের সামনে। প্রথম ম্যাচেই লাল সবুজের মেয়েদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। সবশেষ আসরে এই পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬-০ গোলে জিতেছিল বাংলাদেশ। এবার দলটি নিয়ে বাড়তি সতর্ক পিটার জেমস বাটলারের শিষ্যরা।
যে কারণে গত বৃহস্পতিবার ভারত ও পাকিস্তানের ম্যাচ দেখতে মাঠে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে ৫-২ গোলে হেরে এবারের টুর্নামেন্ট শুরু করেছে পাকিস্তান। কিন্তু হারলেও পাকিস্তানের আক্রমণভাগের শক্তির আঁচ কিছুটা পাওয়া গেছে এই ম্যাচে। তাই সাবিনাদের অনুশীলনের গতি আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্রিটিশ কোচ পিটার। আক্রমণ, মধ্যমাঠ, ডিফেন্ডিং এব গোলকিপিং- সব বিভাগেই অনুশীলনে জোর দিলেন। গতকাল শুক্রবার আনফা কমপ্লেক্স মাঠে সাবিনা খাতুন, মনিকা চাকমা, ঋতুপর্ণা চাকমাদের অনুশীলনে স্নায়ুচাপও লক্ষ্য করা গেল। খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফসহ সবাইকে নিয়ে আগের দিন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন বাটলার। পাকিস্তানের শক্তি ও দুর্বলতা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেছেন দশরথ স্টেডিয়ামে বসে। তাইতো পাকিস্তানের আক্রমণভাগকে আটকে দিতে অনুশীলনে শিউলি আজিম, মাসুরা পারভীনের সঙ্গে আফঈদা খন্দকারকে খেলিয়ে রক্ষণভাগ পরখ করে নিলেন। অনুশীলনে পোস্টের নিচে ব্যস্ত সময় কাটালেন রূপনা চাকমা, ইয়ারজান বেগমরা। ভারতের বিপক্ষে গোল পাওয়া পাকিস্তানের সুহা হিরানি, কাইলা মারিয়া সিদ্দিকিদের সামলাতে হবে তাকে।
পাকিস্তানের গতিময় ফরোয়ার্ডদের সামলাতে ডিফেন্ডারদের মতো অনুশীলনে বাড়তি ঘাম ঝরালেন রুপনা। গোলকিপার কোচ মাসুদ আহমেদ উজ্জ্বলের সঙ্গে আলাদাভাবে কাজ করলেন তিনি। শিষ্যদের অনুশীলণে খুশী মাসুদের কথা, ‘দুই বছর আগে এখানে আমাদের অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় রুপনার যে দারুণ ভূমিকা ছিল, আমার বিশ্বাস, এবার সে পোস্টের নিচে আরো ভালো করবে। দুই বছরে ওর রিফ্লেক্স, বলের ফ্লাইট বোঝার সামর্থ্য আরো বেড়েছে।’ রক্ষণভাগ নিয়ে শামসুন্নাহারও বেশ আশাবাদি, ‘ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের ম্যাচ আমরা দেখেছি। ওরা খুবই ভালো খেলেছে। আমরাও প্রস্তুত।’ পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামতে মুখিয়ে আছেন বলে জানালেন ফরোয়ার্ড ঋতুপর্ণা চাকমা, ‘আমরা দলে ২৩ জন রয়েছি। যে যেই পজিশনেই খেলুক, তারা চেষ্টা করবে সেরাটা দিতে। গতবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই এবারো। স্বাভাবিক খেলা খেলতে চেষ্টা করব। আমরাও প্রস্তুত। দেশের জন্য সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলতে চেষ্টা করব। এবার সব ম্যাচই প্রতিদ্বন্দ্বিাতপূর্ণ হবে আশাকরি। পাকিস্তানের সঙ্গেও ম্যাচটি প্রতিযোগিতামূলক হবে বলেই আমার বিশ্বাস।’