সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ঠিকই জাদু দেখা যায় রিশাদ আহমেদের পারফরম্যান্সে। প্রথমবার বিশ্ব আসরে গিয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট নেন এই তরুণ লেগ স্পিনার। রিশাদের আন্তর্জাতিক অভিযান এখনো পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতেই আটকা। গত ডিসেম্বরে ওয়ানডে অভিষেক হলেও একাদশে নিয়মিত হতে পারেননি তিনি। টেস্টে এখন পর্যন্ত বিবেচনায়ই আনা হয়নি তাকে। তবে লাল বলেও রিশাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত দেখেন মুশতাক আহমেদ। সেই পথে এগিয়ে যেতে তরুণ লেগ স্পিনারকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মনোযোগ দিতে বললেন বাংলাদেশের স্পিন কোচ।
বাংলাদেশ দল যখন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে খেলছে, রিশাদ তখন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটই খেলছেন। রংপুর বিভাগের হয়ে জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম রাউন্ডে দুই ইনিংসে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ২২ বছর বয়সী স্পিনার। চট্টগ্রামের ব্যাটিং ব্যর্থতার ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে মাত্র ১০.১ ওভার বোলিং করতে পেরেছেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি ছিল তার ২০তম ম্যাচ। ২০১৮ সালে অভিষেক হলেও খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি তিনি। অনেক সময় একাদশে সুযোগ পেলেও বাংলাদেশের নানা বাস্তবতায় বোলিং করার সুযোগ বেশি আসে না তার। ৩৩ ইনিংসে গড়ে ১১ ওভারের কম বোলিং করেছেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে খেলতে হলে এই জায়গাটিতেই রিশাদের আরো উন্নতি চান মুশতাক।
বাংলাদেশের টেস্ট দলের লেগ স্পিনার নেই কোনো। সেই শূন্যতা দূর হতে পারে রিশাদকে দিয়েই। তবে এ জন্য তাকে আরো পোক্ত হতে হবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে বললেন লেগ স্পিন গ্রেট মুশতাক। ‘আমার মনে হয়, বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য সে খুব ভালো প্রতিভা, বিশেষ করে সাদা বলে। বিশ্বকাপে তো দেখেছেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশ্বের প্রায় সব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে তার ওপর নজর আছে। কারণ সে ম্যাচ উইনার। সে আপনাকে উইকেট এনে দিতে পারে, যে কোনো পরিস্থিতিতে ম্যাচ জেতানোর সামর্থ্য রাখে।’ পাকিস্তানের এই কিংবদন্তি বলেন, ‘দারুণ স্পিন, ভালো গতি ও ড্রিফট থাকা দীর্ঘদেহী লেগ স্পিনার সে। প্রায় সব কিছু তার আছে। ভালো গুগলি করাও শিখছে। দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে খেলার জন্য তাকে আগে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলতে হবে। ভালোভাবে ৪ বা ১০ ওভার করার পাশাপাশি তাকে ২৫ ওভার করাও শিখতে হবে। আমি মনে করি, তা শুধু প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেই সম্ভব।’
