অবসরের পর মুক্তি মিললো

প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া ডেস্ক

আরেক দফায় অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলকে নেতৃত্ব দেয়ার ইচ্ছে তা সম্ভব হয়নি। খানিকটা আক্ষেপ নিয়েই শেষ হয়ে গেছে ডেভিড ওয়ার্নারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। তবে একটু সান্ত¡না, এবার অন্তত বিগ ব্যাশে নেতৃত্ব দিতে পারবেন তিনি। ২০১৮ সালে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিংয়ে জড়িত থাকায় এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফিরেছিলেন অনেক আগেই। তবে নেতৃত্বে আজীবন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল তাকে। তবে অবশেষে সেই নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি মিলেছে তার। ছয় বছরের বেশি সময় পর তার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। চলতি মাসের শুরুতে তিন সদস্যের স্বতন্ত্র প্যানেলের শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ৩৭ বছর বয়সী ওয়ার্নার। প্যানেলটি সবকিছু পর্যালোচনা করে দেখতে পেয়েছে, অবিলম্বে তার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার জন্য ওয়ার্নার সব মানদ- পূরণ করেছেন। শাস্তি পাওয়ার পর থেকে ওয়ার্নার ‘সম্মানজনক ও অনুশোচনাপূর্ণ’ কাজ করেছেন বলেও জানায় এই প্যানেল। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় দেশের ক্রিকেটে অধিনায়ক হতে আর কোনো বাধা নেই ওয়ার্নারের। ফলে বিগ ব্যাশের দল সিডনি থান্ডারের অধিনায়ক হওয়ার যোগ্যতা ফিরে পেলেন এই ক্রিকেটার। সিএর প্রধান নির্বাহী নিক হকলি বলেছেন, ‘আমি সন্তুষ্ট যে ডেভিড ওয়ার্নার তার ওপর নিষেধাজ্ঞার শাস্তি পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে এই মৌসুমেই অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে অধিনায়কের পদ ফিরে পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবে।’ চলতি বছরের শুরুতেই টেস্ট ও ওয়ানডেকে বিদায় বলেছেন ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে বিদায় নেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকেই। অর্থাৎ টি-টোয়েন্টি থেকেও অবসর নেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অবসর ভেঙে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন এই ক্রিকেটার। কেপটাউন টেস্ট বল টেম্পারিং কাণ্ডের সময় অস্ট্রেলিয়া দলের সহ-অধিনায়ক ছিলেন ওয়ার্নার। তবে ক্যামেরন ব্যানক্রফটকে দিয়ে বল বিকৃতি করানোর নেপথ্যে মূল হোতা ছিলেন তিনিই। তখন অধিনায়ক স্মিথ ও ওয়ার্নারকে এক বছরের জন্য ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত করা হয়। আর ব্যানক্রফটকে ৯ মাসের নিষেধাজ্ঞা। এরসঙ্গে তখন ওয়ার্নারের মতো অধিনায়ক স্টিভ স্মিথকেও নেতৃত্বে দেয়া হয় আজীবন নিষেধাজ্ঞা। তবে গত বছর ভারত সফরের সময় সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় সিএ। সে ধারায় এবার তুলে নেয়া হলো ওয়ার্নারের। যদিও এর আগে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে আপিল করেছিলেন ওয়ার্নার। তবে তদন্ত কমিটির আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে ২০২২ সালে তা প্রত্যাহার করে নেন। শুনানিতে সিডনি থান্ডারের জেনারেল ম্যানেজার ট্রেন্ট কোপল্যান্ড সমর্থন দেন ওয়ার্নারকে।

এ ছাড়া বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ও প্রধান কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড, সাবেক অধিনায়ক গ্রেগ চ্যাপেল ও জাতীয় নারী দলের সাবেক অধিনায়ক ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার্স অ্যাসিয়েশনের ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট লিসা স্টালেকারের কাছ থেকেও লিখিত সুপারিশ পায় প্যানেল। ওয়ার্নারকে সমর্থন জানিয়ে তিন সদস্যের কমিটির কাছে একটি চিঠি পাঠান নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও।