ফাইনালে পরিপূর্ণ ফুটবল খেলে ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে মরিয়া সাবিনা
প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেন’স সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে মাঠের লড়াই শুরুর পর এই প্রথম কোচের সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে এলেন সাবিনা খাতুন। পাশাপাশি বসে ফাইনাল নিয়ে বললেন অনেক কথা। সেখানে যেমন মুকুট ধরে রাখার তীব্র আকাঙ্খার উপস্থিতি, পাশাপাশি থাকলো সাম্প্রতিক সময়ে দলের ভেতরে-বাইরের নানা ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে কিছুটা উষ্মাও। কাঠমা-ুর দশরথ স্টেডিয়ামে আজ বুধবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় মুখোমুখি দুই দল। টানা দ্বিতীয় ট্রফির স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নামবে সাবিনা-মনিকারা। প্রথমবারের মতো এই শিরোপার স্বাদ নিতে উন্মুখ আঞ্জিলা-সাবিত্রা। দুই বছর আগে এই দশরথের আঙিনায় নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিলেন সাবিনা। গতকাল মঙ্গলবার ফাইনাল সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলনে এসে যখন ট্রফি নিয়ে প্রতিপক্ষ অধিনায়কের সঙ্গে ছবি তোলার জন্য পোজ দিতে গেলেন, বাংলাদেশ অধিনায়কের কথায়, চলায়, ট্রফির পাশে দাঁড়ানোর ভঙ্গিতে দেখা গেল আত্মবিশ্বাসের স্ফুরণ। জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও, এবারের বাংলাদেশ দলে প্রথমবারের মতো সাফ খেলতে আসা খেলোয়াড় ৯ জন। ৩১ বছর বয়সী অধিনায়ক জানালেন, দলের অভিজ্ঞরা আগলে রাখছেন নতুনদের। গ্যালারিতে নেপালি দর্শকের উপস্থিতির চাপ নিয়ে ওঠা প্রশ্নে সাবিনা বললেন, চাপ থাকবে স্বাগতিকদের ওপরই। ‘নেপালকে ফাইনালে দেখে আমি খুশি। আশা করি, দর্শকরা আগামীকালের ফাইনাল উপভোগ করবে। ফাইনাল কারো জন্যই সহজ হবে না, কঠিন ম্যাচ হবে।’ ‘আমাদের কিছুটা অসুবিধা তো হবেই। দলের অনেকেই তরুণ আছে। আবার অনেকেরই এই মাঠে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। আমার কাছে মনে হয়, স্বাগতিক দলই বেশি চাপে থাকে।’ আসরের শুরুতে পাকিস্তানের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। এর সাথে যোগ হয়েছিল দলের ভেতরে চলা নানা দ্বন্দ্ব, কোন্দল নিয়ে কোচ, খেলোয়াড়দের পাল্টাপাল্টি। যদিও মাঠের খেলায় এর প্রভাব পড়েনি, দারুণ পারফরম্যান্স মেলে ধরে প্রাপ্তির চূড়ার খুব কাছাকাছি পৌঁছেছেন সাবিনারা।
শেষ ধাপে এসে সেরা প্রাপ্তির উচ্ছ্বাসে আরো একবার ভাসতে মরিয়া সাবিনা। তবে লক্ষ্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোও পেড়ে বসলেন ৩১ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। ‘আমি আমার দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। মেয়েরা যেসব বিতর্কের মধ্য দিয়ে গেছে, সেসব কিছু অতিক্রম করে যেভাবে ফুটবল খেলেছে, সেটা অবিশ্বাস্য। এটার প্রশংসা করা উচিত। আমি ব্যক্তিগতভাবে, তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমার মনে হয় না, কোনো কিছুর ঘাটতি আপনারা মাঠে দেখতে পাবেন না। আপনারাই বলেছেন, মেয়েরা এত ভালো ফুটবল কীভাবে খেলছে? আমার মনে হয়, সেই জিনিসটাই মেয়েরা ধরে রাখবে।’ ‘অবশ্যই চাইবৃদেশের মানুষের দোয়া। গতবার আমাদের প্রতি আশা ছিল, সেটা রেখেছিলাম। এখন মেয়েরা ভালো ফুটবল খেলছে এটাই স্বস্তির। আমি মনে করি, শিরোপা জেতার জন্যই খেলবে মেয়েরা।’