লাতিন আমেরিকার ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে ছয় ম?্যাচের পাঁচটিতেই এমিলিয়ানো মার্তিনেস অক্ষত রেখেছিলেন জাল। বীরত্ব দেখিয়েছিলেন টাইব্রেকারে। আর্জেন্টিনার কোপা আমেরিকা শিরোপা ধরে রাখার পথে রেখেছিলেন বড় অবদান। তারই স্বীকৃতি হিসেবে টানা দ্বিতীয়বার তিনি জিতলেন বর্ষসেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার। প্যারিসে গত সোমবার রাতে জমকালো ব্যালন দ’র অনুষ্ঠানে মার্তিনেসের হাতে তুলে দেয়া হয় সেরা গোলরক্ষকের স্বীকৃতি ‘ইয়াশিন ট্রফি।’ ২০২০ সাল থেকে ইংলিশ ক্লাব অ্যাস্টন ভিলায় খেলছেন মার্তিনেস। প্রিমিয়ার লিগের দলটিতে নিয়মিত দারুণ সব সেভ করে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন তিনি। গত মৌসুমে সেরা চারে থেকে ভিলার চ?্যাম্পিয়ন্স লিগে ফেরায় রেখেছেন অনেক বড় অবদান। সোভিয়েত ইউনিয়নের সাবেক গোলরক্ষক লেভ ইয়াশিনের নামে ২০১৯ সাল থেকে বর্ষসেরা গোলরক্ষককে ইয়াশিন ট্রফি দিচ্ছে ফ্রান্স ফুটবল। প্রথম ফুটবলার হিসেবে দুইবার এই পুরস্কার জিতে যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না মার্তিনেসের। ‘এটা আমার জন?্য অনেক বড় পুরস্কার। সব সময়ই আমি জাতীয় দলের হয়ে একটি ম?্যাচ খেলার স্বপ্ন দেখে এসেছি। এতো কম বয়সে ইংল?্যান্ডে আসা, অ?্যাস্টন ভিলা ও জাতীয় দলে খেলা। এটা একবার জেতাই অনেক সম্মানের সেখানে পরপর দুইবার জিততে পারা! আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না।’ পোস্টের নিচে বরাবরই আস্থার প্রতীক মার্তিনেস। অনেক সময়ই প্রতিপক্ষের উপর প্রবল চাপ তৈরি করেন তিনি। কথা বললেন মাঠে ও মাঠের বাইরে নিজের ভূমিকা নিয়েও। ‘মাঠে কখনো কখনো আপনি এমন আচরণ করবেন যে, ম?্যাচটা আপনি জিততে চান। মাঠে বাইরে আমি গর্বিত একজন মানুষ। একজন স্বামী ও ভাই।’ গত বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষক ছিলেন মার্তিনেস। সবশেষ দুই কোপা আমেরিকাতেও তিনিই পোস্টের নিচে সেরা। এবার টানা দুইবার জিতলেন ইয়াশিন ট্রফি। বর্ষসেরা খেতাব জেতার পরও নিজেকে সেরা মানতে নারাজ অভিজ্ঞ এই কোচ। ‘নিজেকে আমি সেরা হিসেবে দেখি না। অনেক ভালো গোলরক্ষক আছে, যাদের আমি প্রতি সপ্তাহেই দেখছি। আমি কেবল দলীয় প্রচেষ্টাকেই গুরুত্ব দিই আর নিজের উন্নতি করতে চাই। অ?্যাস্টন ভিলার হয়ে আমরা উন্নতির ধারাটা ধরে রাখতে চাই।’