এই মুহূর্তে কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। সাকিব আল হাসানকে নিয়ে আলোচনা থামতে না থামতেই হাজির শান্তর নেতৃত্বে ছাড়ার প্রসঙ্গ। তাছাড়া ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ভরাডুবি ঘটেছে টাইগারদের। সবমিলিয়ে বেশ অস্বস্তিতে রয়েছে লাল-সবুজের দল। এরমধ্যেই সামনে আরেকটি সাদা বলের সিরিজ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ওয়ানডে খেলতে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে উড়াল দিয়েছে স্কোয়াডের প্রথম ভাগের সদস্যরা। বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তাওহিদ হৃদয়। আসন্ন ওয়ানডে সিরিজে চ্যালেঞ্জ থাকলেও চিন্তার কিছু দেখছেন না হৃদয়। আফগান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত এই ব্যাটার।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে পর্যাপ্ত ওয়ানডে খেলার সুযোগ দিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাড়তি একটা তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। ৬ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ দলের একাংশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে শনিবার। সেই বহরের সঙ্গে যাওয়া হৃদয়ের কণ্ঠে দল নিয়ে প্রবল আত্মবিশ্বাস। ‘সংস্করণ ভিন্ন হলেও একই সেটআপের টানা হার দলের আবহ ভারি করছে। বাজে ছন্দে থাকায় অনেক প্রশ্নের মুখেও পড়ছে জাতীয় দল। এর প্রভাব পড়া অস্বাভাবিক না ওয়ানডেতেও। তবে হৃদয় মনে করছেন, তেতো অভিজ্ঞতা ঝেড়েও বর্তমানে আছেন তারা, তাকাচ্ছেন সামনের দিকে, প্রতিটা ক্রিকেটার এখানে অনেক পেশাদার। আমার মনে হয়, অতীত নিয়ে বেশি ভাবার কিছু নেই। ম্যাচ ধরে ধরে এগোনো ভালো। হতে পারে একটি ম্যাচ বা বড় কোনো টুর্নামেন্ট। আমি আশা করি, সম্প্রতি আমাদের (ফল) কী হয়েছে বা কী করেছি, এগুলো নিয়ে ভাবার সময় নেই। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, সামনের দিনটা আমরা কীভাবে শুরু করব, সেই দিনটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমি বর্তমানে থাকতে চাই।
৬, ৯ ও ১১ নভেম্বর তিনটা ম্যাচই হবে আফগানিস্তানের ‘হোম ভেন্যু’ শারজায়। আমিরাতে আগে খেলার অভিজ্ঞতা নেই হৃদয়ের। তবে এই কন্ডিশনে বাংলাদেশের বাকি প্রায় সবাই অনেক ক্রিকেট খেলেছেন। সেদিক থেকে নিজেদের মানিয়ে নেয়া কঠিন হবে বলে মনে করেন না হৃদয়, ‘আমি (কন্ডিশন) ওখানে খেলিনি। আমার জন্য প্রথম সিরিজ হবে। যতটুকু জানি, আমাদের জন্য কঠিন হবে না। কারণ প্রত্যেকটা ক্রিকেটার ওখানে খেলেছে। সবার ধারণা আছে কন্ডিশনের ব্যাপারে। আশা করি, একই ধরনের কন্ডিশন হবে।’ আফগানিস্তান দলে আছেন দারুণ সব স্পিনার। রশিদ খান, মোহাম্মদ নবিদের দলের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জ থাকলেও চিন্তার কারণ দেখেন না বাংলাদেশের মিডল অর্ডার ব্যাটার, ‘আফগানিস্তানের বোলিং বিভাগ বিশেষ করে স্পিনাররা সবসময়ই ওদের শক্তির জায়গা। এটা আমরা সবাই জানি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিটা দলই শক্তিশালী। প্রতিটা দেশে তাদের সেরা ক্রিকেটাররাই খেলে। এগুলো নিয়ে বেশি চিন্তার কিছু নেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফর্ম করতে হলে এই চ্যালেঞ্জটা নিতেই হবে। প্রতিপক্ষে কারা আছে, তাদের নিয়ে আমরা পরিকল্পনা করব। সেভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করব।’
এদিকে তিন ফরম্যাটে অধিনায়ক থাকতে চাচ্ছেন না নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ অধিনায়ক নিয়েই চলছে নানা গুঞ্জন। অনেকের নাম উঠে আসছে।
তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে যাওয়ার আগে ব্যাটার তাওহীদ হৃদয় জানিয়েছেন, অধিনায়ক এমন খেলোয়াড়কেই করা উচিত যার মাধ্যমে দলের ভালো কিছু হবে। সম্ভাব্য অধিনায়ক হিসেবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তার নামও শোনা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করতেই তিনি বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টির অধিনায়কের ব্যাপারে বিসিবি সিদ্ধান্ত নেবে।
এটা আমার বিষয় নয়। তবে আমি মনে করি, এটা শুধু আমার বা দু’একজন দিয়ে হবে না। বিসিবি বা যারা দায়িত্বে আছেন, তারা ভালো জানেন। আমার মনে হয়, দলের ভালোর জন্য যার কাছে যাওয়া উচিত, তাকেই অধিনায়কত্ব দেওয়া উচিত। আর যার কাছে যাবে, তার জন্য শুভকামনা।’