মালদ্বীপের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ বাংলাদেশের

মেয়েদের অর্জনে অনুপ্রাণিত ছেলেরা

প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

মালদ্বীপের বিপক্ষে আসছে দুই ম্যাচের জন্য ইসা ফয়সাল, মোহাম্মদ হৃদয়রা অনুপ্রেরণা খুঁজে নিচ্ছে সাবিনা-ঋতুপর্ণাদের সাফের শিরোপা ধরের রাখার গল্প থেকে। মালদ্বীপের বিপক্ষে দুই প্রীতি ম্যাচে ভালো করার বাড়তি তাগিদও জাতীয় দল অনুভব করছে বলে জানালেন তারা। মালদ্বীপের বিপক্ষে ১৩ ও ১৬ নভেম্বর দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের তৃতীয় ধাপের ড্র সামনে রেখে র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির লক্ষ্যে এ ম্যাচগুলো খেলছে বাংলাদেশ। দেশকে গত বুধবারই উৎসবের উপলক্ষ্য এনে দিয়েছেন সাবিনা-মনিকাণ্ডআফিদারা। টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতেছেন তারা।

সাবিনাদের এই সাফল্য নিয়ে ক্যাম্পে কথা হয়েছে বলে জানিয়ে ২৫ বছর বয়সী ডিফেন্ডার ইসা বললেন, ভালো কিছু করার অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন তারাও। ‘সাফে মেয়েদের সাফল্য নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। শুরুতেই তাদের অভিনন্দন জানাই। বাংলাদেশের জন্য এটা অনেক বড় একটা অর্জন। এ বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে, যে আমরাও ভালো কিছু করতে চাই। ১৩ এবং ১৬ তারিখ মালদ্বীপের বিপক্ষে আমাদের অনেক বড় দুটি ম্যাচ। এখানে আমরা যদি দুইটা ম্যাচ জিততে পারি, তাহলে পট ৩-এ আসব। সেক্ষেত্রে আমাদের সমমানের যে দলগুলো আছে, তাদের সঙ্গে একই গ্রুপে থাকার সম্ভাবনা আছে। আমরা সবাই এদিকে মনোযোগী আছি। ঘরের মাঠে খেলা, যেভাবেই হোক আমরা পট-৩-এ থাকার চেষ্টা করব। নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করব, যেন আমরা কাঙ্ক্ষিত ফল পেতে পারি। দুইটা ম্যাচই আমরা জিততে চাই।’

সবশেষ প্রীতি ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে শেষ দিকে গোল হজম করে হেরেছিল বাংলাদেশ। একই ভুলের পুনরাবৃত্তি মালদ্বীপ ম্যাচে দেখতে চান না ইসা। ‘আসলে পুরো ম্যাচই ভালো ছিল। শেষ দিকে হয়তে আমাদের মনোযোগে একটু কমতি ছিল, যাই হোক, এই ভুলগুলো আমরা শুধরে নিতে চাই, এই ভুলগুলো আর করতে চাই না।’ হৃদয়ও দারুণ আশাবাদী মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে। সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকার জন্য ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার জামাল ভূঁইয়ার অনুপস্থিতি দলকে ভোগাবে না বলেও মনে করেন তিনি।

‘পারিবারিক কারণে সে আসতে পারেনি, তবে তার জায়গায় প্রয়োজন মনে করে কোচ যাকে নিয়েছেন, আশা করছি, সেও ভালো করবে ইনশা আল্লাহ। সবাই সুস্থ আছে, এখানে যারা এসেছে, তারা ক্লাবে অনুশীলন করেই এসেছে। আমাদের হাতে যে কয়েকদিন সময় আছে, কোচ চাইছেন আমাদের নিয়ে ভালো কিছু করার, ইনশা আল্লাহ, মালদ্বীপের বিপক্ষে আমরা ভালো কিছুই করব।’ দুই দফা পেছানোয় ঘরোয় ফুটবল শুরু হয়নি। সেটা হলেও সবাই প্রতিযোগিতামূলক খেলার মধ্যে থাকত। সেটা হয়নি বলে কিছুটা হতাশা থাকলেও হৃদয়ের মনে হচ্ছে, এর বিরূপ প্রভাব মাঠের খেলায় পড়বে না সেভাবে। ‘হ্যাঁ, তা তো অবশ্যই (শুরু হলে ভালো হত)। অনেকগুলো দল বিশ্রামে থাকার পর হয়তো কিছু ক্লাব অনুশীলন করছে। তবে কিছু দল অনেক দিন ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছে। তো লিগটা তাড়াাতাড়ি শুরু হলে ভালো হতো, তবে (তা না হলেও) আমরা অনুশীলনের মধ্যেই ছিলাম।’