প্রধান উপদেষ্টার কাছে কৃষ্ণার দাবি
বার্সেলোনার বিপক্ষে খেলতে চায় সাফজয়ীরা
প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক
এশিয়ার বাইরে ফুটবল ম্যাচ খেলতে চাওয়ার আগ্রহ বাংলাদেশের মেয়েদের বহুদিনের। তবে, সেটা আলোর মুখ দেখেনি কখনও। এবার এই ইচ্ছার কথা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জানালেন সাফজয়ী বাংলাদেশ দলের ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রানী সরকার। বিশেষ করে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার বিরুদ্ধে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে চাওয়ার আগ্রহের কথা প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছেন এই ফরোয়ার্ড। কাঠমা-ুর দশরথ স্টেডিয়ামে গত বুধবার স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ উইমেনস চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে নেয় তহুরা-মনিকারা। দেশে ফিরে উষ্ণ সংবর্ধনায় সিক্ত হয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। গতকাল শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নিজেদের আকাঙ্ক্ষা ও চাহিদার কথা জানান ফুটবলাররা। সামাজিক ব্যবসার ধারণা দিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূস ২০১৬ সালে গিয়েছিলেন বার্সেলোনায়। তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাবটিতে। ন্যু ক্যাম্পে গিয়ে তার নাম লেখা একটি বিশেষ জার্সি পরেছিলেন। বার্সেলোনার সঙ্গে ড. ইউনুসের সুসম্পর্কের কথা জানা বাংলাদেশ জাতীয় নারী দলের ফুটবলার কৃষ্ণা রানী সরকারের। তাই সুযোগ পেয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বিজয়ী বার্সেলোনার বিরুদ্ধে একটি প্রীতি ম্যাচব্যবস্থা করে দেয়ার অনুরোধ জানান তিনি। প্রধান উপদেষ্টা তার উদ্বোধনী বক্তব্যে ফুটবলারদের উদ্দেশে বলেন, ‘এই সাফল্য অর্জনের জন্য আমি সমগ্র জাতির পক্ষ থেকে তোমাদের অভিনন্দন জানাই। জাতি তোমাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমাদের দেশের মানুষ সাফল্য চায়। তোমরা আমাদের সাফল্য এনে দিয়েছো।’ প্রধান উপদেষ্টা প্রতিটি খেলোয়াড়কে তাদের ব্যক্তিগত আশা এবং আকাঙ্ক্ষা, সংগ্রাম এবং দাবিগুলো আলাদা কাগজে লিখে সেগুলো তার কার্যালয়ে পাঠিয়ে দিতে বলেন। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘তোমরা যা খুশি লিখতে পারো, কোনো দ্বিধা করবে না। আমরা তোমাদের দাবি পূরণ করার চেষ্টা করব। এখন যদি কিছু সুরাহা করা যায় তবে আমরা এখনই সেটা করব।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারী দলের বিদায়ী কোচ পিটার বাটলার ও ম্যানেজার মাহমুদা আক্তার। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।