ঢাকা ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ভিনিসিয়ুসের ব্যালন ডি’অর না পাওয়াটা ‘অন্যায়’

ভিনিসিয়ুসের ব্যালন ডি’অর না পাওয়াটা ‘অন্যায়’

প্রায় এক মাস আগে থেকেই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল ভিনিসিয়ুস জুনিয়রই জিততে যাচ্ছেন এবারের ব্যালন ডি’অর। এই ব্রাজিলিয়ান তারকা রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার কারণেই মূলত এই রব উঠেছিল। মার্কাসহ একাধিক ইউরোপিয়ান সংবাদমাধ্যম এমন খবর প্রকাশ করেছিল।

তাই সময় যত ঘনিয়ে আসছিল, ব্রাজিল ও রিয়ালের সমর্থকদের উত্তেজনা ততই বাড়ছিল। কিন্তু ফুটবলের মর্যাদাপুর্ন এই পুরস্কার প্রদানের দিন বিকেলের পর থেকে ধীরে ধীরে সমর্থকদের আশার বেলুন চুপসে যেতে থাকে। একের পর এক আসতে থাকে, ভিনিসিয়ুস নন, ব্যালন ডি’অর জিততে যাচ্ছেন ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার রদ্রি। ফলে অনেক আলোচনায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত এবার ব্যালন ডি‘অর পাননি রিয়াল মাদ্রিদের তারকা ফরোয়ার্ড। তাতে অনেকটাই ভেঙে পড়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান।

তবে এ সময়ে সঙ্গে পেয়েছেন সাবেক ও বর্তমান অনেক সতীর্থ ও কোচদের। এবার তার জাতীয় দলের কোচ দরিভাল জুনিয়রের সমর্থনও পেলেন তিনি। ভিনিসিয়ুস ব্যালন ডি’অর পাবেন জানার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকরা। তার ক্লাব তো অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে ফ্রান্সে না যাওয়ার সিদ্ধান্তও নেন। এবারের ব্যালন ডি’অর ভিনিসিয়ুসেরই পাওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন ব্রাজিল কোচ। এই পুরস্কার না পেলেও মানুষের ভালোবাসাকেই বড় পুরস্কার বলে মনে করেন তিনি। এদিকে বিশ্বকাপে বাছাই পর্বের জন্য ব্রাজিলের পরবর্তী দুই ম্যাচে চোট কাটিয়ে দলে ফিরেছেন ভিনিসিয়ুস। দল ঘোষণার সময়ই উঠে আসে ভিনিসিয়ুসের ব্যালন ডি’অর না পাওয়ার প্রসঙ্গ। এই রিয়াল তারকাকে নিয়ে বলেন, ‘ওর সঙ্গে আগের দিন কথা হয়েছিল আমার। পরে আর কথা হয়নি। সামনাসামনি কথা বলতে হবে।’ ব্রাজিলিয়ান কোচ বলেন. ‘আমার মতে এটা অন্যায়। খুবই অন্যায্য একটা পরিস্থিতি, বিশেষ করে এটা যখন একটা ব্যক্তিগত পুরস্কার। যে পুরস্কার জিতেছে, তার বিরুদ্ধে আমার কিছু বলার নেই। বরং উল্টোটা, স্প্যানিশ ফুটবলের দারুণ একজন ফুটবলারের স্বীকৃতি এটি। তবে ভিনিসিয়ুস যা করেছে, তার প্রাপ্য ছিল অন্যরকম স্বীকৃতি।’

তবে নানা বিতর্ক হলেও প্রাপ্য হিসেবেই এবারের ব্যালন ডি’অর জিতে নিয়েছেন রদ্রি। জাতীয় দল ও ক্লাবের হয়ে দুর্দান্ত মৌসুম কাটিয়েছেন। অপ্টার পাওয়ার পয়েন্টিংয়ে গত মৌসুমে রদ্রি পেয়েছেন ৭.৮৯। যেখানে ভিনিসিয়ুস ৭.৩৬। তবে ভিনিসিয়ুসের ক্লাব সতীর্থ জুড বেলিংহ্যাম ও দানি কার্ভাহালও ছিলেন দাবিদার। এই দুই তারকাও সেরা চারে থাকায় কিছুটা ভোট কাটে ভিনিসিয়ুসের। তাতেই পিছিয়ে পড়েন তিনি। ব্যালন ডি’অরের চেয়ে বড় পুরস্কার মানুষের সম্মান বলে উল্লেখ করেছেন ব্রাজিল কোচ, ‘সবচেয়ে বড় যে পুরস্কার ভিনিসিয়ুস জিতেছে, তা হলো মানুষের স্বীকৃতি ও সম্মান। ব্রাজিলের বেশিরভাগ মানুষ বুঝতে পেরেছে, পুরস্কারটি যার প্রাপ্য ছিল, তার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত