ডার্বি জয়ে শীর্ষস্থান সুসংহত বার্সার
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ক্রীড়া ডেস্ক
জাভি হার্নান্দেজের বিদায়ের পর বার্সেলোনার দায়িত্ব নিয়েছেন হান্সি ফ্লিক। এই জার্মান কোচের অধীনে রীতিমত উড়ছে কাতালুনিয়ারা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ান মিউনিখকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দেয়ার পর লা লিগায় এল ক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে গিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে লামিনে ইয়ামালরা। লস ব্লাঙ্কোসদের ৪-০ গোলে হারিয়ে শীর্ষে নিজেদের জায়গা সুসংহত করে ক্লাবটি। গত রোববার রাতে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে লা লিগার ম্যাচে ৩-১ গোলে জিতেছে হান্সি ফ্লিকের দল। নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে জয়ে জোড়া গোল করেছেন দানি ওলমো, অন?্যটি রাফিনিয়া। এস্পানিওলের হয়ে ব্যবধান কমিয়েছেন হাভি পুয়াদো। স্পেনে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন?্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ম্যাচ। আগেই দেয়া ঘোষণা অনুযায়ী সম্প্রচারের সময় একটু পর পর তাদের জন্য চাওয়া হয় সাহায্য। অষ্টম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় বার্সেলোনা। সবার উঁচুতে লাফিয়ে নাগাল পেলেও হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ওলমো। দুই মিনিট পর ডি বক্সের বাইরে থেকে গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে হতাশ করেন তিনি। তৃতীয়বারে সাফল্য পান ওলমো। দ্বাদশ মিনিটে লামিনে ইয়ামালের দুর্দান্ত ক্রস পেয়ে প্রথম স্পর্শে জাল খুঁজে নেন শুরুর একাদশে ফেরা এই ফরোয়ার্ড। এই গোলে অবদান রেখে ক্লাব সতীর্থ রাফিনিয়াকে (৬) ছাড়িয়ে আসরে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট এখন ইয়ামালের (৭)। অষ্টাদশ মিনিটে একটুর জন্য সমতা ফেরাতে পারেনি এস্পানিওল। হাভি পুয়াদোর শট বেরিয়ে যায় কাছের পোস্ট ঘেঁষে। পাঁচ মিনিট পর সফরকারীদের একরাশ হতাশায় ডুবিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রাফিনিয়া। মাঝমাঠ থেকে মার্ক কাসাদোর বাড়ানো বল দৌড়ের মধ্যেই গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে জালে পাঠান এই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার। ২৭তম মিনিটে বার্সেলোনার জালে বল পাঠায় এস্পানিওল। তবে অফসাইডের জন্য মেলেনি গোল। চার মিনিট পর ব্যবধান আরো বাড়ান ওলমো। এস্পানিওলের ডি বক্সের কাছে রাফিনিয়া বল কেড়ে নিলে পেয়ে যান আলেহান্দ্রো বালেদ। তার কাছ থেকে বল পেয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে জাল খুঁজে নেন ওলমো। আসরে এটি তার পঞ্চম গোল। ৫৮তম মিনিটে জালে বলও পাঠায় তারা। তবে এবারো অফসাইডের জন্য মেলেনি গোল! দুই মিনিট পর পুয়াদোর শট ঠেকিয়ে ব্যবধান কমতে দেননি বার্সেলোনা গোলরক্ষক ইনিয়াকি পেনিয়া। লক্ষ্যে এটাই ছিল সফরকারীদের প্রথম শট। বার্সেলোনাকে বেশ চাপে রাখা এস্পানিওল অবশেষে ভাঙতে পারে অফসাইড ফাঁদ। ৬৩তম মিনিটে খুব কাছ থেকে বল জালে পাঠিয়ে ব্যবধান কমান পুয়াদো। দুই মিনিট পর লেভানদোভস্কির জোরাল শট ঠেকিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি এস্পানিওল গোলরক্ষক। ৭৩তম মিনিটে বার্সেলোনার জালে বল পাঠায় এস্পানিওল। তবে আক্রমণের এক পর্যায়ে বল লাইন অতিক্রম করায় মেলেনি গোল। ১১ মিনিট পর ডি বক্সের ভেতর থেকে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ইয়ামাল। ৮৬তম মিনিটে হোফরে কারেরাস খুব কাছ থেকেও ঠিক মতো হেড করতে পারেননি, নষ্ট হয় এস্পানিওলের দারুণ সুযোগ। পরের মিনিটে তার শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান পেনিয়া। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে এস্পানিওলের জালে বল পাঠান আনসু ফাতি। তবে তিনি অফসাইডে থাকায় মেলেনি গোল।