জাতীয় সাঁতার শুরু শনিবার
সাঁতারে ইলেক্ট্রোনিক্স স্কোরবোর্ডের আক্ষেপ
প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক
সবশেষ ২০০৩ সালে ইলেক্ট্রোনিক্স স্কোরবোর্ডের টাইমিংয়ে হয়েছিল সাঁতার প্রতিযোগিতা। তারপর নতুন ডিজিটাল স্কোরবোর্ড বসানো হলেও সেটি অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে ২১ বছর ধরে হ্যান্ডটাইমিংয়ের সহায়তায় খেলা পরিচালনা করে আসছে সুইমিং ফেডারেশন। তাই এবারো ইলেক্ট্রোনিক্স স্কোরবোর্ড ছাড়াই শুরু হতে যাচ্ছে ম্যাক্স গ্রুপ জাতীয় সাঁতার। প্রায় সাড়ে পাঁচশ’ সাঁতারুরা অংশ নেবেন শনিবার থেকে শুরু হওয়া চার দিনের এই আসরে। মিরপুর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সুইমিং কমপ্লেক্সে পুরো আসরটিই অনুষ্ঠিত হবে হ্যান্ডটাইমিংয়ে।
২০১৯ সালে মিরপুরের এই সুইমিং কমপ্লেক্সে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ইলেক্ট্রোনিক্স স্কোরবোর্ড বসানো হলেও প্রতি বছরই সাঁতারুদের অনুশীলন ও ঘরোয়া প্রতিযোগিতা চলে হ্যান্ডটাইমিংয়ে। ২০১৯ সালে সেরা সাঁতারুর খোঁজে প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে মিরপুর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সুইমিংপুল সংস্কারের উদ্যোগ নেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। এরই অংশ হিসেবে পুরোনো স্কোরবোর্ড সরিয়ে বসানো হয় ডাকট্রোনিকস কোম্পানির নতুন স্কোরবোর্ড। কিন্তু পাঁচ কোটি টাকার স্কোরবোর্ড পড়ে আছে শ্বেতহস্তির মতোই। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে। সেখানে ঘুরে ফিরে উঠে এসেছে হ্যান্ডটাইমিংয়ের প্রসঙ্গ।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে দেশে নেই বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা বদরুল সাইফ। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসাবে সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে কথা বলেন মোহাম্মদ সেলিম মিয়া, ‘আমরা যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে এসব বিষয়ে কথা বলেছি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিবকে আমাদের ইলেক্ট্রোনিক্স স্কোর বোর্ডের বিষয়ে চিঠি দিয়েছি। আপাতত এটা সমাধানের কোনও সম্ভাবনা নেই। তাই আমাদের এবারও হ্যান্ডটাইমিংয়ে সাঁতার আয়োজন করতে হচ্চে।’ এবারের জাতীয় সাঁতারের বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, সুইমিং ক্লাব, বিকেএসপি, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, পুলিশ ও আনসারসহ ৫২ দলের সাঁতারুরা অংশ নিচ্ছেন। পুরুষ ও মেয়েদের ৩৮টি ইভেন্টে অংশ নেবে সাঁতারুরা।